×

জাতীয়

বাংলাদেশের জনগণকে প্রণাম জানালেন মমতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৩০ পিএম

বাংলাদেশের জনগণকে প্রণাম জানালেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আমন্ত্রণ না আসায় দিল্লি যাচ্ছেন না মমতা

চার দিনের ভারত সফরে সোমবারই দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১২টা নাগাদ দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ভারতের রেল ও টেক্সটাইলে প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হলেও আমন্ত্রণ না থাকায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাাচ্ছেন না।

শেখ হাসিনা যখন ভারত সফর করছেন, ঠিক তখনই বাংলাদেশের মানুষকে প্রণাম জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতজুড়ে পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস (দার্শনিক ও অধ্যাপক, স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি প্রয়াত সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ'এর জন্মদিন)। কলকাতায় এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এই কথা বলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, আমি জানি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ভারতে এসেছেন। সম্ভবত ৮ তারিখ পর্যন্ত উনি আছেন এবং আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আমাদের শুভেচ্ছা, আমাদের অভিনন্দন এবং আমাদের প্রণাম, সালাম জানাই।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষকদেরও আমাদের প্রণাম ও সালাম। কারণ সংস্কৃতির দিক থেকে ওদের আর আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সেই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে কোনো সভায় যেতে দেয়া হয় না বলেও নাম না করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ উগরে দেন মমতা।

তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের অনেক জায়গায় আমাকে বক্তৃতা দিতে ডাকলেও আমি যেতে পারি না। কারণ যেতে দেয়া হয় না। তাতে কিছু যায় আসে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ভারত সফরে সীমান্তবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার সঙ্গে একান্তে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছে না। মাসখানেক আগে শেখ হাসিনা নিজেই মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি দিয়ে দিল্লি সফরে তার সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেছিলেন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমার নির্ধারিত নয়াদিল্লি সফরকালে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা রাখি। এর আগে গত ২০১৭ সালেও দিল্লি সফরে এসে মমতার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দুই নেত্রীর একান্ত বৈঠকে উঠে এসেছিল তিস্তা পানিবণ্টনসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বিষয়।

শেষবার ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসেছিলেন বঙ্গকন্যা। সেবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার ইডেনে অনুষ্ঠিত গোলাপি টেস্ট দেখতে কলকাতায় হাজির হয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

সেবারও কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে মমতার সঙ্গে একান্তে কথা হয়েছিল বাংলাদেশ সরকার প্রধানের। আসলে মমতা এবং শেখ হাসিনার বন্ধুত্ব সর্বজনবিদিত, দুই বোনের সম্পর্ক। অতীতে মমতার জন্য পুজোতে শাড়ি, মৌসুমী ফল আম, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য ইলিশও পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দুই বাংলার এই দুই নেত্রীর মধ্যে রয়েছে স্নেহ-সম্মান-ভালোবাসার স্বতঃস্ফূর্ত বন্ধন। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই বাংলার কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে। আর সে কারণেই ভারত সফরে ‘বোন’ সমতুল্য মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী ছিলেন শেখ হাসিনা। আর এই সব বিষয়ে মাথা রেখেই হাসিনার দিল্লি সফরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ করার জল্পনা ছড়িয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু আমন্ত্রণ না আসায় দিল্লি যাচ্ছেন না মমতা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App