আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা রাজপথে আছি। রাজপথ ছাড়বো না। রাজপথে আমরা থাকব। রাজপথ কারো নিজের সম্পত্তি নয়। রাজপথে আসুন, পুলিশ ছাড়া বাহাদুরের মতো আসুন। দেখি কার কতো ক্ষমতা।

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধান ‘হত্যার’ প্রতিবাদে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় যুবদল আয়োজিত নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, রাজপথে খেলার কথা বলছেন, আসুন খেলি, তবে আমাদের খালি হাত, আপনারাও খালি হাতে আসেন। পুলিশ ছাড়া আসেন। দেখি কার কত ক্ষমতা। আর যদি বলেন, লগি-বৈঠা, সেটাও সই। আমরা নিয়ে আসব। আমাদেরও বন্ধুকের লাইসেন্স দিন, আমরাও বন্ধুকের লাইসেন্স চাই। বন্ধুক দিয়ে বন্ধুক মোকাবিলা করব। আমরা জয়লাভ করব। তবে আমি যেটা বললাম, সেটা কথার কথা নয়। সমানে-সমানে লড়াই হবে। মির্জা আব্বাস বলেন, আমাকে এক ছোট ভাই বলেছে, বুক পেতে দিয়েছি, আরো গুলি করো। কিন্তু না আমরা আর গুলি খাওয়ার জন্য বুক পেতে দেবো না। আমাদেরকেও লাইসেন্স দিন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো কর্মসূচি সরকার পতনের জন্য ছিলো না। জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এসব কর্মসূচি ছিলো। সেই কর্মসূচিতে ভোলায় নূরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওনকে গুলি করে মারা হলো। তার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে এখন আগুন জ্বলছে।

এর আগে, শনিবার সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গুলি করে আমাদের বহু নেতাকর্মীকে আহত করেছে, অনেকের নামে মামলা করেছে। এই সরকার খুন, হত্যা, হামলা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তাদেরকে টিকে থাকতে হবে। তাদের কথা হচ্ছে, আমি অন্য কিছু বুঝি না। আমার হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা চাই। কারণ ক্ষমতায় থাকলে লুট করা যায়। মানুষের ওপর অত্যাচার করা চায়।

তিনজনকে হত্যা করাই সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতেও এই সরকারের কিছু যায় আসে না। উল্টো তারা কি বলছে, পুলিশের গায়ে আঘাত করলে তারা কি ছেড়ে দেবে। যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছে, সেটা তো একটা যুদ্ধাস্ত্র। এটা তো যুদ্ধে ব্যবহার হয়। চাইনিজ রাইফেল, এটা পুলিশ-ডিবির হাতে কেন? ব্রিটিশ সরকার অনেক শক্ত সরকার হলেও তারা পুলিশের হাতে একটা ব্যাট ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। যে সরকার ও পুলিশ আমার টাকায় চলে, তার কোনো ক্ষমতা নেই আমার গায়ে হাত দেয়ার। সব হত্যার বিচার করা হবে। এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে নিহত শাওন প্রধানের ভাই ফরহাদ হোসেনও যোগ দেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, শাওন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ সময় ফরহাদ নিজে স্লোগান ধরেন, শাওন হত্যার বিচার চাই। যুবদলের নেতাকর্মীরাও তার সঙ্গে স্লোগান ধরেন।