তথ্য যাচাই করে সত্য প্রকাশের আহ্বান মেয়র আতিকের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:২৯ পিএম
শনিবার বিকেলে রাজধানীর পিআইবি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর পিআইবি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আপনারাই মানুষের কাছে তথ্য ও সংবাদ প্রকাশ করেন। তবে তথ্য যাচাই করে সত্য প্রকাশ করতে হবে। গঠনমূলক সংবাদের মাধ্যমে একটি সুন্দর ও জবাবদিহিতামূলক সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর প্রেস ইনিস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মিলনায়তনে সিটি রিপোর্টাস ফোরাম (সিআরএফ) আয়োজিত দুই দিন ব্যাপী নগর সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেয়র আতিক। নগর সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সাথে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সিটি রিপোর্টাস ফোরামের সভাপতি আদিলুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে অনেক সমস্যা রয়েছে। যেগুলোকে আমি সমস্যা না বলে চ্যালেঞ্জ বলি। রয়েছে সমন্বয়হীনতা। এই সমন্বয়হীনতাই নগর উন্নয়ণের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। একজন নগরের সেবক হিসেবে আমার কাছে এটাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে হচ্ছে। তবে সবার সহযোগিতা নিয়ে একদিন এসব সমস্যা আমরা সমাধান করে এ শহরকে পরবর্তী প্রজম্মের জন্য বাসযোগ্য করে যাব।
মেয়র বলেন, ঢাকার বড় চ্যালেঞ্জ হলো খাল দখল, ফুটপাত দখল, আইন না মানা, যানজট। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সফলতা আমাদের আসবে, আসতেই হবে। আমরা খাল উদ্ধার করছি। ফুটপাত দখলমুক্ত করছি। যানজট থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন কাজ করছি। এসব কাজ সকলের সাথে সমন্বয় করে করা হচ্ছে। এই শহরে আমরা থাকি, আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখানেই বেড়ে উঠছে। এই শহরের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। যথাস্থানে ময়লা ফেলে, আইন মেনে চলে, অবৈধ দখল না করে আমরা শহরের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারি।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সমাপনী দিনের বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিজের কাজ, সততা, নিষ্ঠা দিয়ে একজন দক্ষ ও প্রখ্যাত সাংবাদিক হবেন এটাই প্রত্যাশা করি। সাংবাদিকতা করে খ্যাতি অর্জন করা যায়। আবার অপসাংবাদিকতা করে দ্রুতই বাড়ি গাড়ির মালিক হওয়া যায়। কোনটা হবেন, সেটা আপনার ওপর নির্ভর করছে। সাংবাদিকদের এমনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে যেন সবাই আপনাদের সম্মান করে৷ সত্য ও সঠিক তথ্য তুলে ধরে দেশের সেবা করতে হবে।
সবশেষে বলেন, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। যারা নগর সাংবাদিকতা করছেন তাদের জন্য সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ আয়োজনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি সাংবাদিকরা বিদেশে গিয়েও যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে এবং নগর উন্নয়ন দেখতে পারে সে ব্যবস্থা করার ঘোষণাও দেন তিনি।