এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। রাত ৮টায় শুরু হবে খেলা। এই ম্যাচের বিজয়ী দল তৃতীয় দল হিসেবে সুপার ফোরে প্রবেশ করবে। আর দেশে ফেরার বিমানে উঠতে হবে পরাজিত দলকে।

বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের মাঝে কথার লড়াই শুরু হয়ে গেছে এশিয়া কাপের শুরু থেকেই । সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচ, এমনকি বোর্ড কর্মকর্তারাও জড়িয়েছেন এ কথার লড়াইয়ে।

তবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হওয়ার আগে দুই দলই চিন্তিত তাদের ফর্ম নিয়ে। কারণ আফগানিস্তানের বিপক্ষে কোনো দলই তাদের সেরা পারফরম্যান্স দিতে পারেনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি কোনো দল। এশিয়া কাপের আগে সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এখনো পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ছাপ ফেলতে পারেনি টাইগাররা। যদিও প্রতিবার তারা সাড়া জাগিয়ে শুরু করে। তারপর মুখ থুবড়ে পড়তে হয়। এবারও তা-ই হয়েছে।

টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব নেয়ার পর সাকিব বলেছিলেন, তিনি এত দ্রুত দলে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন না। হয়েছেও তাই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সাত উইকেটে হারে বাংলাদেশ। রশিদ খানরা ছেলেখেলা করেই জিতে যায় বাংলাদেশের সঙ্গে।

বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। শ্রীলঙ্কায় কোনো বোলার নেই বলে পাল্টা খোঁচাও দিয়েছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কাও এশিয়া কাপে তাদের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল আফগানিস্তানের কাছে। শ্রীলঙ্কার হয়ে রান পেয়েছেন ভানুকা রাজাপক্ষে ও দুষ্মন্ত চামিরা। এ ছাড়া ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা একটি উইকেট পান। তবে দুর্বল হলেও শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের আগে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিল। ফলে সেই কনফিডেন্সটা তাদের কাজে লাগতে পারে এই ম্যাচে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দলে হার্ডহিটারের সেই পুরনো সংকট। হয়তো বদল আসবে ওপেনিং জুটিতে। কিন্তু এসবেও কি বদলাবে বাংলাদেশের ভাগ্য?