×

জাতীয়

গ্রেপ্তারে অনুমতি: আপিল শুনানি আজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০০ এএম

সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারা অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ করলেও সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে অনুমতির নেয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্টর দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে অপিল আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আপিল শুনানির দিন ধার্য করেছেন চেম্বার জজ আদালত।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার জজ আদালত শুনানির দিন ধার্য করেন। আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

গত ২৫ আগস্ট এ সংক্রান্ত রুল শুনানী শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ এই ধারাকে মৌলিক অধিকার ও সংবিধান পরিপন্থি বলে বাতিল ঘোষণা করেন। আদালত রায়ে বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ২৬, ২৭ ও ৩১ এ নির্দেশনা রয়েছে সব ক্ষেত্রেই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। কিন্তু ৪১(১) ধারায় নির্দিষ্ট একটি সেকশনকে সুরক্ষা দেয়া হয়। এমন আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে বলা আছে, মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি যে কোনো আইন বাতিলযোগ্য হবে। আদালত আরো বলেন, দুদক আইনে ৩২ (ক) ধারায় এমন সুরক্ষা দেয়া হলেও আদালত তা বাতিল করে এবং সরকার পক্ষ সেই রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেনি। সুতরাং, একই বিষয়ে আবারো আইন করার কোনো সুযোগ নেই।

২০১৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। এ অবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১(১) ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ পরিপন্থি উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবরে হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারাটি কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

এই রিট মামলায় এইচআরপিবি’র পক্ষে রিট পিটিশনার ছিলেন এডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং এডভোকেট মাহবুবুল ইসলাম। বিবাদীরা ছিলেন ক্যাবিনেট সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয় সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। বাদী পক্ষে শুনানী করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট খোরশেদ আলম খান, সরকারের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App