×

জাতীয়

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৬:৪০ পিএম

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ছবি: ভোরের কাগজ।

রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন এলাকায় দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারুফা বেগমকে হত্যা মামলায় তার স্বামী সুজন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আজগর স্বপন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে রায়ের আদেশে বলা হয়, মামলায় উপস্থিত সাক্ষীদের মৌখিক, দালিলিক সাক্ষ্য, এজাহার, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট, আসামির ব্যাখ্যা বিবেচনা করে হত্যা মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আসামি সুজন মিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১১ (ক) ধারায় অপরাধ করায় তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। আসামির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তার গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। এছাড়া এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হলো, যা তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে আদায়যোগ্য হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মারুফার ভাই রুবেল হাওলাদার বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি সুজন মিয়া আগে স্ত্রী-সন্তান থাকলেও তা গোপন করে মারুফা বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তাদের সুইটি (৯) ও মাইশা (২) নামে দুটি মেয়ে আছে। বিয়ের পর আসামি নানা সময়ে মারুফার কাছে যৌতুক হিসেবে টাকা চান। প্রথমদিকে কিছু টাকা পয়সা দেয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল রাত ৮ টায় আসামি সুজন ফের তার স্ত্রী মারুফার কাছে গাড়ি কিনবে বলে ২ লাখ টাকা যৌতুক চান। কিন্তু মারুফা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার স্বামী সুজন কিল-ঘুষি, লাথি দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেয়। এরপর ঘরে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে তার মাথায় মারেন। এরপর মারুফার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আসামি তার দুই মেয়েকে নিয়ে চলে যান। পরে মারুফাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক ফকরুল আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ৯ জন সাক্ষীর সকলের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এছাড়া আসামির পক্ষে দুইজন সাফাই সাক্ষী দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App