চালু হচ্ছে রামগড় স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম

আগের সংবাদ

সম্পর্কের ইতি টানছেন ডি ক্যাপ্রিও-ক্যামিলা

পরের সংবাদ

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে পূর্বানুমতি

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২২ , ৪:২২ অপরাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২২ , ৪:২৮ অপরাহ্ণ

সরকারি কর্মচারীরা ফৌজদারি অপরাধ করলেও তাদের গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বিধান বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

বুধবার (৩১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ এই আপিল করে। আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

গত ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রুল শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ এই ধারাকে মৌলিক অধিকার ও সংবিধান পরিপন্থী বলে বাতিল ঘোষণা করেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়, সংবিধানের আর্টিকেল ২৬, ২৭ ও ৩১ এ নির্দেশনা রয়েছে, সকল ক্ষেত্রেই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান। কিন্তু ৪১(১) ধারায় নির্দিষ্ট একটি সেকশনকে সুরক্ষা দেয়া হয়। এমন আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে বলা আছে, মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী যে কোন আইন বাতিলযোগ্য হবে।

আদালত আরও বলেন, দুদক আইনে ৩২(ক) ধারায় এমন সুরক্ষা দেয়া হলেও আদালত তা বাতিল করে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সেই রায়ের বিরুদ্ধে কোন আপিল করেনি। সুতরাং, একই বিষয়ে আবারও আইন করার কোন সুযোগ নেই।

২০১৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। এ অবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১(১) ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ পরিপন্থী উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবরে হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারাটি কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

এই রিট মামলায় এইচআরপিবি’র পক্ষে রিট পিটিশনার ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট মাহবুবুল ইসলাম। বিবাদীরা ছিলেন, ক্যাবিনেট সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিব, প্রধানমন্ত্রী অফিসের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব, জাতীয় সংসদ সবিচালয় সচিব, জাতীয় সংসদের স্পীকার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। বাদী পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম খান, সরকারের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

এমকে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়