×

জাতীয়

সোহেল চৌধুরী হত্যার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৪ সেপ্টেম্বর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২, ০২:১৮ পিএম

সোহেল চৌধুরী হত্যার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৪ সেপ্টেম্বর

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে মামলার বাদী ও নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে আসামিদের পক্ষে জেরা করা হয়। তবে এখনো তিন আসামির জেরা সম্পন্ন হয়নি। তাই বিচারক বাকিদের পক্ষে জেরা ও পরবর্তী দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন শিল্পী বলেন, 'সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে আজ জেরা করা হয়। তবে এখনো তিন জন আসামি তথা আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন ও ফারুক আব্বাসীর পক্ষে জেরা সম্পন্ন হয়নি। তাই এই জেরা ও পরবর্তী দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।'

এরআগে, মামলার প্রায় ২৪ বছর পর গত ২৮ আগস্ট সোহেল চৌধুরী ভাই আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর ওইদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। দুই আসামির পক্ষে জেরা শেষ হয়। তাই আদালত অন্যান্য আসামিদের পক্ষে জেরার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নীচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App