×

জাতীয়

ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশ: জবিতে হাজিরা ফিঙ্গার প্রিন্টে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২, ১০:১৩ পিএম

ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশ: জবিতে হাজিরা ফিঙ্গার প্রিন্টে

ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকশের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজিরা ফিঙ্গারপ্রিন্টে। ফাইল ছবি

‘জবিতে দেরিতে ঘুম ভাঙে কর্মকর্তাদের!’ শিরোনামে ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাজিরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবস্থায় নেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সকল বিভাগ, দপ্তর ও ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল হাজিরার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন লাগানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান সাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ, ইনস্টিটিউট, বিভাগ ও দপ্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সময়মত অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফিঙ্গার প্রিন্ট হাজিরার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাই আগামী ৭ দিনের মধ্যে ফিঙ্গার প্রিন্ট হাজিরার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্টে দৈনিক ভোরের কাগজে ‘জবিতে দেরিতে ঘুম ভাঙে কর্মকর্তাদের!’ সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে বলা হয়, অফিসে যোগদানের সময় সকাল ৮টা। তবে কেউ সাড়ে ৯টায়, কেউ ১০টায়, কেউ ১১টায়, কেউবা তার পরেও আসেন। ঘুম ভাঙতে ভাঙতেই অফিসের সময় ২-৪ ঘন্টা চলে যায়। এমনই চিত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য যেন নিত্য। দপ্তরে যার ক্ষমতা যতো বেশি, তার ঘুম ভাঙতে ততো বেশি সময় লাগে। এ তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার থেকে শুরু করে দপ্তর প্রধানরা পর্যন্ত রয়েছেন। অফিসে যোগদানের হাজিরায় আধুনিক সিস্টেম (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) না থাকায় কে কখন আসেন বা যান তার কোন সঠিক হিসাব থাকে না। এছাড়া অনেকে চলে যান নির্ধারিত সময়ের (বিকাল-৪ টা) আগেই। এতে বিভিন্ন দপ্তরে ফাইল জমা হয়ে যাওয়ায় কাজের এক ধরনের আমলাতান্ত্রিকতা দেখা যায়। নানা কাজে হয়রানি হয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন ক্ষোভ দেখা যায়, তেমনই যারা সঠিক সময়ে অফিসে আসেন তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই সকলের নির্ধারিত সময়ে হাজিরা নিশ্চিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App