×

জাতীয়

লাইসেন্সবিহীন সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২২, ০৭:০৩ পিএম

লাইসেন্সবিহীন সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে

সোমবার রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে ঢাকা জেনারেল হসপিটালে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

অবৈধ সেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সারা দেশব্যাপী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্বিতীয় দফায় শুদ্ধিকরণ অভিযান চলছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

আজ সোমবার রাজধানীসহ সারাদেশে অবৈধ সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধে দ্বিতীয় দফায় এই শুদ্ধিকরণ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। নিবন্ধন না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক ও হাসপাতাল।

রাজধানীর বকশিবাজার, উত্তরা, চকবাজার, লালবাগ, যাত্রাবাত্রী, কচুক্ষেত ও বনানীতে একযোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। রাজধানীতে ৮টি সেবা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিদেশি চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো বনানীতে অবস্থিত হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট অ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি সেন্টার। কিন্তু এই চিকিৎসককে কেউ কখনো দেখেনি। এদিকে অভিযানে দেখা গেছে সেখানে নেই চিকিৎসার যথাযথ পরিবেশ। ফলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়। বকশিবাজার মোড়ে লাইসেন্স না থাকায় ‘খিদমাহ লাইফ কেয়ার’ নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এছাড়া সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল, কনক জেনারেল হাসপাতাল মাতুয়াইল, শনিরআখড়ায় সালমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চাংখারপুলে ঢাকা জেনারেল হাসপতাাল, বনানীতে ঢাকা পেইন অ্যান্ড স্পাইন সেন্টার নামের সেবা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামে সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। সেখানে বন্ধ করে দেয়া হয় ৭টি অবৈধ সেবা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া নোয়াখালীতে ৪টি এবং নওগাঁতে ৫টি অবৈধ সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে স্বাস্থ্য বিভাগ।

দুপুরে বনানীতে পরিচালিত অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনে যান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৩ মাস আগে শুদ্ধিকরণ শুরু হয়েছিলো। তবে, এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন করেনি।লাইসেন্সবিহীন যত প্রতিষ্ঠান আছে সব বন্ধ করে দেয়া হবে। অধিদপ্তরের কাছে থাকা অবৈধ সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতো বটেই এর বাইরেও যদি কোন প্রতিষ্ঠান থাকে সেগুলোর খোঁজ পাওয়া গেলে সেগুলোও বন্ধ করা হবে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতেই এই কর্মসূচি। আমরা কারও শত্রু না। আমরা চাই সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা দিক। কিন্তু সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সেবার নামে প্রতারণা সহ্য করা হবে না। আমরা অনেকবার বলেছি, এগুলো করা উচিত না, করবেন না। কিন্তু তারা যেহেতু শোনেননি, এ কারণে আমরা নিজেরাই মাঠে নেমেছি। তাদেরকে এবার বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়া হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে দেখা হবে হাসপাতালগুলোর সেবার মান। সেই মান অনুযায়ী সেগুলোকে এ, বি ও সি এই ৩ শ্রেণিতে ভাগ করে তা জনগণকে জানিয়ে দেয়া হবে।

চলতি বছরের ২৫ মে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর সারাদেশে শুরু হয় অবৈধ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান। এতে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি অবৈধ সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রথম ১০ দিন সাঁড়াশি অভিযান চললেও পরবর্তীতে এ অভিযানের গতি অনেকটা কমে আসে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, এই অভিযান চলমান একটি প্রক্রিয়া।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App