×

পুরনো খবর

মমতাজের স্বামীর ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২, ০১:৫৮ পিএম

মমতাজের স্বামীর ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

মমতাজ বেগম ও তার স্বামী ডা. মঈন হাসান। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের স্বামী ডা. এএসএম মঈন হাসানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে তার ব্যবহৃত গাড়ি অভিযোগপত্রে এমনটিও উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনার পাঁচ দিন পর শনিবার (২৭ আগস্ট) ডা. এএসএম মঈন হাসান ৬ জনকে আসামি করে সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হচ্ছেন- সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা গ্রামের মৃত জজ মিয়ার পুত্র নয়ন, মধ্য ধল্লা গ্রামের শুকুর আলীর পুত্র রুবেল, ফিরোজ মুন্সির পুত্র আশরাফুল, গাজিন্দা বড় পাড়া গ্রামের হজরত আলীর পুত্র মোসলেম উদ্দিন ও পশ্চিম বাস্তা গ্রামের আনোয়ার আলীর পুত্র পাঙ্খা জসিমসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন। হামলাকারীদের মধ্যে আশরাফ, নয়ন ও মুসলেম স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। এদিকে মমতাজের স্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে নেমেছেন থানা পুলিশ।

মমতাজের স্বামীর থানার লিখিত অভিযোগে জানান, গত মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত বাস্তা বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশে রোকেয়া চক্ষু সেন্টার পরিদর্শন শেষে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে বের হন তিনি। এ সময় সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশা তার গাড়ির গতিরোধ করে। অটোরিকশা থেকে বেশ কয়েকজন লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে নেমে তার গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করে। এতে তিনিও আহত হন।

হামলার পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।

মমতাজ বেগম এমপির পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তার স্বামীর উপর হামলা হয়েছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে। সূত্রটি আরো জানায়, এ দ্বন্দ্বের জের ধরে মমতাজ বেগম এমপির মালিকানাধীন জয়মন্টপের মমতাজ চক্ষু হাসপাতালে ডা. মঈন হাসান দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও গত আড়াই মাস যাবত তিনি এ হাসপাতালে আসছেন না।

হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে আশরাফুল ইসলাম বলেন, হামলা হয়েছে শুনেছি। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত না।

এদিকে, মমতাজ বেগম দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে এ প্রসঙ্গে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ বলেন, হামলার ঘটনা দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এর সঙ্গে দলীয় কোনো নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনার দিন পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত হলেও আহত ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিতে বিলম্ব করেন বলে সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান। তিনি আরো বলেন, লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে হামলার সাথে জড়িত নয়ন, আশরাফ ও মুসলেমসহ কয়েকজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে এখানো হামলার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App