বরিশালের বাবুগঞ্জে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহন বাসের চাপায় ২ ভ্যানযাত্রী নিহত ও ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও নিহতদের প্রতিবেশী মোঃ বেলাল হাওলাদার জানান, ভ্যানচালক জয়নাল খান মানিককাঠী থেকে ৫ জন যাত্রী নিয়ে রহমতপুর ব্রীজের দিকে আসছিলেন। এসময় বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫০৮৭৩) একটি বাস রহমতপুর বাসস্ট্যান্ডে বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান একজন পুরুষ এবং একজন নারী। তবে তাদের সঙ্গে থাকা শিশুটি অক্ষত রয়েছেন। খবর শুনে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নিহতরা হলেন, রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠী গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদার (৬০) ও একই গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী শামীমা আক্তার পলি (৩৮)। শামীমা আক্তার পলির মেয়ে রাফিয়াকে (১২) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্যানচালক জয়নাল ও বোরকা পরিহিত অজ্ঞাত আরেক বৃদ্ধাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সেতুর ঢালে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আজকেও দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এখানকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা দাবি করছেন, দুর্ঘটনাস্থলে স্পিডব্রেকার স্থাপন করার।

বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমা বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর বাসস্ট্যান্ডে গতিরোধক স্থাপনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে এসেছি স্থানীয় জনতাকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল ওয়ারেস জানান, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। এছাড়া দুইজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করেন। আমরা এসে তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন জনতা। যানচলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছে।

আব্দুল ওয়ারেস আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি শ্যামলী পরিবহনের চালক-হেলপারদের গ্রেপ্তার করার। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হবে বলেও জানান ওয়ারেস।