বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এমন একটি টেকসই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে মানুষ ও এই গ্রহের কল্যাণ নিশ্চিত হয়।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে, যা আমাদেরকে ম্যারাথনে সম্মুখভাগে রেখেছে। ইউএসজিবিসি কর্তৃক প্রত্যয়িত সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থল বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে ইউএসজিবিসি কর্তৃক প্রত্যয়িত ১৬৮টি লিড গ্রিন কারখানা, যার মধ্যে ৫০টি প্লাটিনাম-রেটেড এবং বর্তমানে ৫৫০টিরও অধিক পোশাক কারখানা সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অধিকন্তু, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০০টি শিল্প প্রকল্পের মধ্যে ৪০টি বাংলাদেশে অবস্থিত।

ঢাকায় হোটেল র‌্যাডিসন ব্লুতে আপনা অর্গানিকস প্রাইভেট লি. আয়োজিত ম্যানুফ্যাকচারিং ইন ইফিশিয়েন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল ওয়ে শীর্ষক সেমিনারে শনিবার (২৭ আগস্ট) শহিদউল্লাহ আজিম এসব কথা বলেন।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ এসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন এবং জেডডিএইচসি এর দক্ষিণ-এশিয়া পরিচালক প্রসাদ পান্ত, ইনষ্টিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনীয়ারস এন্ড টেকনোলজিষ্টস এর সভাপতি প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইউথ লিডারস এসোসিয়েশন এর সভাপতি আবরার এইচ. সায়েম।

শহিদউল্লাহ আজিম তার বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এবং বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের একটি বড় অংশই বর্তমানে টেকসই ভোগ এবং উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে, বিশেষ করে পণ্য ক্রয়ের সময় তারা দেখছে যে পণ্যটি পরিবেশবান্ধবভাবে উৎপাদিত হয়েছে কিনা।

তিনি বলেন, বিজিএমইএ তার কৌশলগত রূপকল্পে এই টেকসই ইস্যুটিকে সক্রিয়ভাবে গ্রহণ করেছে। বিজিএমইএ, অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৩০% কমানোর অভিপ্রায় নিয়ে ইউএনএফসিসিসি’র একটি উদ্যোগ, ইউএন ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রি চার্টার ফর ক্লাইমেট একশনে সাক্ষর করেছে। বিজিএমইএ গ্লোবাল ফ্যাশন এজেন্ডা’র সাথে অংশীদারিত্বে সার্কুলার ফ্যাশন পার্টনারশিপ নিয়েও কাজ শুরু করেছে।