×

জাতীয়

অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২, ০৪:১৬ পিএম

অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফাইল ছবি

অননুমোদিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আবারও অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে গত ২৬ মে একই ধরনের অভিযান চালিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রবিবার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, অননুমোদিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংক বন্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছি আমরা। আবার ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অভিযান শুরু করা হবে। আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে, কিন্তু তারা পরিচালনার সব শর্ত মানছে না; পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তাদের তিন মাস সময় দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তিন মাস পার হওয়ার পরও যারা নিয়ম মেনে লাইসেন্স রিনিউ বা নতুন লাইসেন্স নেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই অভিযান চালানো হবে।

এ অভিযানের বিষয়ে গত বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সারা দেশের সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহমেদুল কবির।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত আড়াই মাসে সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৪১টি অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সময়ে নতুন রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এসেছে ১ হাজার ১০৩টি প্রতিষ্ঠান এবং লাইসেন্স পুনর্নবায়ন করেছে ২ হাজার ১৮১টি প্রতিষ্ঠান। নতুন লাইসেন্সের জন্য ২ হাজার ৩৩৯টি আবেদন জমা পড়েছে। লাইসেন্স পুনর্নবায়নের জন্য ৪ হাজার ৫৯৮টি আবেদন জমা পড়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে অথচ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সব শর্ত মানছে না, পরিস্থিতির উন্নতি করার জন্য তাদের তিন মাস সময় দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা নিয়ম মেনে লাইসেন্স পুনর্নবায়ন বা নতুন লাইনসেন্স নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই অভিযান চালানো হবে। দেশে এখন অনলাইনে নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখা সূত্রে জানা গেছে, লাইসেন্স নিয়ে ১৯৮২ সাল থেকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে একবার নিবন্ধন নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান আর তা নবায়ন করেনি। অনেক প্রতিষ্ঠান শুরুতে ১০ শয্যার অনুমোদন নিলেও পরে শয্যা বাড়ালে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানায়নি। অনেকে শয্যার সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়ায়নি জনবল। সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সম্প্রতি রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে ‘এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে একটি অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনহীন ডিগ্রি ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ আসে। ওই ঘটনার অনুসন্ধানে নেমে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মেসবাহ ও তার টিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হামলার শিকার হন। হাসপাতালের মালিক ডা. এম এইচ উসমানীর নেতৃত্বে ওই হাসপাতালে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরা ও গাড়ি। পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক থানায় মামলা করলে আটক হন ডা. এম এইচ উসমানী। সাময়িকভাবে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App