×

খেলা

আফগান-লঙ্কান ম্যাচে এশিয়া কাপ শুরু আজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২২, ১০:২১ এএম

আফগান-লঙ্কান ম্যাচে এশিয়া কাপ শুরু আজ

ফাইল ছবি

এশিয়া কাপের ১৫তম আসরের পর্দা উঠছে আজ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হবে এবারের আসর। আজ রাত ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে উভয় দল। এশিয়া কাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচে আগামীকাল মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। এশিয়া কাপে এবার আফগানদের নেতৃত্ব দেবেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। অন্যদিকে, লঙ্কানদের নেতৃত্ব দেবেন দাসুন শানাকা। এর আগে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মাত্র একবার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৫-১৬ সালে একমাত্র দেখায় ইডেন গার্ডেনে আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়েছিল লঙ্কানরা। এই দুই দলের সঙ্গেই এশিয়া কাপের এই আসরে খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ৩০ আগস্ট মঙ্গলবার আফাগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এশিয়া কাপে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে গত ২৩ আগস্ট দেশ ছেড়েছে টাইগাররা। আরব আমিরাতে দুইদিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে সাকিবরা। দুবাইতে দুই দিন অনুশীলন করেছে টাইগাররা। আইসিসি ক্রিকেট একাডেমির মাঠে দুই নেটে ব্যাট-বলে নিজেদের শান দিয়েছেন আফিফ-বিজয়রা।

অনুশীলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকিয়ে বল হারাতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি শেষদিকে দলে জায়গা পাওয়া নাঈম শেখ। এছাড়া আফিফ হোসেন, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরাও নিজেদের গা গরম করেছেন।

হার্ড হিটার হিসেবে দলে ডাক পেলেও সাব্বির রহমানকে দেখা গেছে বল হাতে। রিশাদের সঙ্গে সাব্বিরও করেছেন লেগ স্পিন। যার প্রধান উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ দলের রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের মোকাবিলা করা। ব্যাট ও বল হাতে ক্রিকেটাররা নিজেদের কাজ চালিয়ে গেলেও গভীর পর্যবেক্ষণ করেছে তিন কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম, জেমি সিডন্স ও রঙ্গনা হেরাথ। টাইাগরদের সঙ্গে এটিই ছিল শ্রীধরন শ্রীরামের প্রথম অনুশীলন। তাই বাংলাদেশে শ্রীরাম গণমাধ্যমে সামন মুখ না খুললেও দুবাইতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

যেখানে প্রকাশ করেছেন টাইগারদের সামর্থ্য ও সম্ভাবনার বাণী। আশার সম্ভাবনা জাগিয়ে শ্রীরাম বলেন, আমি খোলা চোখ নিয়ে এসেছি। আমার পিছুটান নেই। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো না এটি আসলে আমার কাছে অজানাই বলতে পারেন। আমি ওভাবে দেখছি না। খোলা চোখে দেখছি, আমার পরিকল্পনা নতুন জীবনীশক্তি আনতে চাই। দলকে একত্র করতে চাই, নতুন শুরু করতে চাই। অতীতে বাংলাদেশ দল কোন কোন জায়গায় ব্যর্থ হয়েছে, ভুলগুলো কী কী করেছে সেগুলো বড় করে দেখতে নারাজ শ্রীরাম। এর চেয়ে টাইগাররা যেসব কাজ ভালোভাবে করেছে সেগুলো আরো ভালো করার তাগিদ দিলেন ভারতের এ সাবেক অলরাউন্ডার। তাতেই ফল আসবে বলে বিশ্বাস তার।

তিনি আরো বলেন, তারা কোন বিষয় ভালো করতে পারেনি, সেটি দেখার বিষয় নয়। কী করতে পেরেছে- সেটি দেখার বিষয়। এর মাধ্যমে সেরাটা বের করে আনা। আমার নজর থাকবে স্বল্প সময়ে তাদের ওইসব শক্তিমত্তার ওপর নির্ভর করা, সেগুলো বাড়ানো। যেগুলো ভালো করিনি, সে সব এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে, যদি আমরা যা ভালো করছি, সেগুলো করতে থাকি। আমি পরিসংখ্যান দেখেছি। বোলিংয়ের কথা বললে উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে- প্রথম ৩ উইকেট নেয়ার গড়ের ক্ষেত্রে বিশ্বে আমরা অন্যতম সেরা, প্রথম ৫ উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রেও আমরা বিশ্বে অন্যতম সেরা। বাংলাদেশ অনেক কিছুই ঠিকঠাক করেছে এর আগে।

এ সময় বাংলাদেশ দলে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে শ্রীরাম বলেন, আমি আমার ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার। আমার ভূমিকা হলো রিসোর্স একত্র করা। আমাদের খুব ভালো কয়েকজন স্কিল কোচ আছেন। তারা যা করেন, তার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আমার কাজ মূলত অধিনায়ক, টিম ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করা এবং স্কিল কোচদের নিয়ে- তিনটি ভাগকে একত্রে আনা। অস্ট্রেলিয়া এবং আইপিএলে কাজ করে পাওয়া টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কৌশল একত্র করা- যাতে রিসোর্স ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারি। আমি বলছি না যে আমি দলকে নেতৃত্ব দেব, আমি শুধু সহযোগিতা করছি। ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে কাজ করা- আইপিএলে ভারতীয় ছেলেদের সঙ্গে কাজ করা, অজি সেট আপে কাজ করা- পূর্ব-পশ্চিমের একটা ভালো মিশ্রণ আছে আমার। বাংলাদেশে এসে আমি আসলে এদের বেড়ে ওঠা, খেলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বুঝি। একই সঙ্গে পেশাদারিত্ব, প্রত্যাশার ব্যাপারটিও নিয়ে আসতে পারি। আমি মুখিয়ে আছি।

নতুন গুরুর সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। টি-টেন লিগের দল বাংলা টাইগার্সের একটি অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুত হতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই ফরম্যাটে কখন কী হয় তা বলা যায় না। নিশ্চিত করে বলা যায় না, কে জিতবে কে হারবে। এসব টুর্নামেন্টে দ্রুত ছন্দ খুজে পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ফাইনালে উঠলে প্রতিপক্ষ হিসেবে যেকোনো দলকে পেতেই ভালো লাগবে। আশা করছি এবার কোনো নতুন দল শিরোপা জিতবে। ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কা তো অনেকবারই জিতেছে। আশা করছি এবার নতুন দলের হাতে শিরোপা উঠবে। এক্ষেত্রে প্রথম ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রথম ম্যাচ জিততে মুখিয়ে আছি, সেটা হলে পরবর্তী সবই ইতিবাচক হবে আশা করছি।এশিয়া কাপের ১৫তম আসরের পর্দা উঠছে আজ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হবে এবারের আসর। আজ রাত ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে উভয় দল। এশিয়া কাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচে আগামীকাল মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। এশিয়া কাপে এবার আফগানদের নেতৃত্ব দেবেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। অন্যদিকে, লঙ্কানদের নেতৃত্ব দেবেন দাসুন শানাকা। এর আগে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মাত্র একবার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৫-১৬ সালে একমাত্র দেখায় ইডেন গার্ডেনে আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়েছিল লঙ্কানরা। এই দুই দলের সঙ্গেই এশিয়া কাপের এই আসরে খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ৩০ আগস্ট মঙ্গলবার আফাগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এশিয়া কাপে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে গত ২৩ আগস্ট দেশ ছেড়েছে টাইগাররা। আরব আমিরাতে দুইদিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে সাকিবরা। দুবাইতে দুই দিন অনুশীলন করেছে টাইগাররা। আইসিসি ক্রিকেট একাডেমির মাঠে দুই নেটে ব্যাট-বলে নিজেদের শান দিয়েছেন আফিফ-বিজয়রা। অনুশীলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকিয়ে বল হারাতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি শেষদিকে দলে জায়গা পাওয়া নাঈম শেখ।

এছাড়া আফিফ হোসেন, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরাও নিজেদের গা গরম করেছেন। হার্ড হিটার হিসেবে দলে ডাক পেলেও সাব্বির রহমানকে দেখা গেছে বল হাতে। রিশাদের সঙ্গে সাব্বিরও করেছেন লেগ স্পিন। যার প্রধান উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ দলের রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের মোকাবিলা করা। ব্যাট ও বল হাতে ক্রিকেটাররা নিজেদের কাজ চালিয়ে গেলেও গভীর পর্যবেক্ষণ করেছে তিন কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম, জেমি সিডন্স ও রঙ্গনা হেরাথ। টাইাগরদের সঙ্গে এটিই ছিল শ্রীধরন শ্রীরামের প্রথম অনুশীলন। তাই বাংলাদেশে শ্রীরাম গণমাধ্যমে সামন মুখ না খুললেও দুবাইতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

যেখানে প্রকাশ করেছেন টাইগারদের সামর্থ্য ও সম্ভাবনার বাণী। আশার সম্ভাবনা জাগিয়ে শ্রীরাম বলেন, আমি খোলা চোখ নিয়ে এসেছি। আমার পিছুটান নেই। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো না এটি আসলে আমার কাছে অজানাই বলতে পারেন। আমি ওভাবে দেখছি না। খোলা চোখে দেখছি, আমার পরিকল্পনা নতুন জীবনীশক্তি আনতে চাই। দলকে একত্র করতে চাই, নতুন শুরু করতে চাই। অতীতে বাংলাদেশ দল কোন কোন জায়গায় ব্যর্থ হয়েছে, ভুলগুলো কী কী করেছে সেগুলো বড় করে দেখতে নারাজ শ্রীরাম। এর চেয়ে টাইগাররা যেসব কাজ ভালোভাবে করেছে সেগুলো আরো ভালো করার তাগিদ দিলেন ভারতের এ সাবেক অলরাউন্ডার। তাতেই ফল আসবে বলে বিশ্বাস তার। তিনি আরো বলেন, তারা কোন বিষয় ভালো করতে পারেনি, সেটি দেখার বিষয় নয়। কী করতে পেরেছে- সেটি দেখার বিষয়। এর মাধ্যমে সেরাটা বের করে আনা। আমার নজর থাকবে স্বল্প সময়ে তাদের ওইসব শক্তিমত্তার ওপর নির্ভর করা, সেগুলো বাড়ানো। যেগুলো ভালো করিনি, সে সব এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে, যদি আমরা যা ভালো করছি, সেগুলো করতে থাকি। আমি পরিসংখ্যান দেখেছি। বোলিংয়ের কথা বললে উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে- প্রথম ৩ উইকেট নেয়ার গড়ের ক্ষেত্রে বিশ্বে আমরা অন্যতম সেরা, প্রথম ৫ উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রেও আমরা বিশ্বে অন্যতম সেরা। বাংলাদেশ অনেক কিছুই ঠিকঠাক করেছে এর আগে।

এ সময় বাংলাদেশ দলে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে শ্রীরাম বলেন, আমি আমার ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার। আমার ভূমিকা হলো রিসোর্স একত্র করা। আমাদের খুব ভালো কয়েকজন স্কিল কোচ আছেন। তারা যা করেন, তার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আমার কাজ মূলত অধিনায়ক, টিম ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করা এবং স্কিল কোচদের নিয়ে- তিনটি ভাগকে একত্রে আনা। অস্ট্রেলিয়া এবং আইপিএলে কাজ করে পাওয়া টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কৌশল একত্র করা- যাতে রিসোর্স ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারি। আমি বলছি না যে আমি দলকে নেতৃত্ব দেব, আমি শুধু সহযোগিতা করছি। ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে কাজ করা- আইপিএলে ভারতীয় ছেলেদের সঙ্গে কাজ করা, অজি সেট আপে কাজ করা- পূর্ব-পশ্চিমের একটা ভালো মিশ্রণ আছে আমার। বাংলাদেশে এসে আমি আসলে এদের বেড়ে ওঠা, খেলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বুঝি। একই সঙ্গে পেশাদারিত্ব, প্রত্যাশার ব্যাপারটিও নিয়ে আসতে পারি। আমি মুখিয়ে আছি।

নতুন গুরুর সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। টি-টেন লিগের দল বাংলা টাইগার্সের একটি অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুত হতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই ফরম্যাটে কখন কী হয় তা বলা যায় না। নিশ্চিত করে বলা যায় না, কে জিতবে কে হারবে। এসব টুর্নামেন্টে দ্রুত ছন্দ খুজে পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ফাইনালে উঠলে প্রতিপক্ষ হিসেবে যেকোনো দলকে পেতেই ভালো লাগবে। আশা করছি এবার কোনো নতুন দল শিরোপা জিতবে। ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কা তো অনেকবারই জিতেছে। আশা করছি এবার নতুন দলের হাতে শিরোপা উঠবে। এক্ষেত্রে প্রথম ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রথম ম্যাচ জিততে মুখিয়ে আছি, সেটা হলে পরবর্তী সবই ইতিবাচক হবে আশা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App