×

খেলা

আফগানিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না শ্রীলংকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২২, ১০:৪৮ পিএম

আফগানিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না শ্রীলংকা

১৮ বলে ৪০ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ছবি: সংগৃহীত।

এশিয়া কাপের উদ্ভোবনী ম্যাচে শনিবার শ্রীলঙ্কাকে আট উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে আফগানিস্তান। লঙ্কানদের ১০৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৬.১ ওভারে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। তাদের নান্দনিক ব্যাটিং দৃঢ়তায় হেসে খেলে জিতেছে রশিদ-নবীরা। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৮ বলে ৪০ রান করে আউট হলেও অন্য প্রান্ত আকড়ে রাখেন হজরতউল্লাহ জাজাই। গুরবাজ সাজঘরে ফিরলে ক্রিজে আসেন ইব্রাহিম জাদরান। জাজাই তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে অবশিষ্ট পথটুকু পাড়ি দিলে ১০.১ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের পথে নোঙর করে আফগানিস্তান। হজরতউল্লাহ জাজাই ২৮ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ইব্রাহিম জাদরান আউট হন ১৫ রানে। আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে আফগানিস্তান।

শনিবার (২৭ আগস্ট) আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কান ব্যাটাররা। আফগান বোলারদের তোপের মুখে ১৯.৪ ওভারে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কান ইনিংস। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন আফগান বোলাররা। বল হাতে যাদু দেখান ফজল হক ফারুকী। তিনি ১১ রানে তিন উইকেট লাভ করেন। মুজিব উর রহমান এবং অধিনায়ক নবী দুটি করে উইকেট লাভ করেন। শেষ উইকেট জুটিতে চামিকা করুনারত্নে ও দিলশান মধুশাঙ্কার ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৩০ রান যোগ করায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস শতরান (১০৫) পার করতে সক্ষম হয়। লঙ্কান ব্যাটারদের মধ্যে ভানুকা রাজাপাকসে ৩৮ এবং চামিকা করুনারত্নের ৩১ রান ছিল উল্লেখ করার মত।

আফগানদের হয়ে প্রথম আঘাত হানেন ফজল হক ফারুকী। প্রথম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে তার করা বলটা মিডল-অফ স্টাম্পে গুড লেন্থে পড়ে একটু সুইং নিয়ে চলে যায় লেগ স্টাম্পে। স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ফ্লিক করে পাঠাতে চেয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু ব্যাটে বলে না হওয়ায় বল গিয়ে সোজা আঘাত হানে প্যাডে। শুরুতে আম্পায়ার সায় না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানরা। পরের বলে ফের সফলতা পায় আফগানরা। এবার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান চারিথ আসালঙ্কাকে শিকার বানান ফারুকী। বল অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পড়ে আসালঙ্কাকে চমকে দিয়ে ঢোকে ভেতরে। তিনি রিভিউ নিলেও কোনো লাভ হয়নি। শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় এই ব্যাটারকে।

আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা প্রতি আক্রমণে চমকে দিতে চেয়েও পারেননি। নাভিন উল হকের অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পড়া বলটাকে তুলে দিতে চেয়েছিলেন কভারের ওপর দিয়ে। সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার ব্যাট ছুঁয়ে বল গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক রাহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে। আম্পায়ার আউট দিলেও সে সিদ্ধান্ত রিভিউ করেন নিশাঙ্কা। ব্যাটে বলের কোনো ছোঁয়ার প্রমাণ আল্ট্রাএজেও দেখা যায়নি। তবু আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। ৭ বলে তিন রান করে ফিরতে হয় লঙ্কান ওপেনারকে।

সে ধাক্কা প্রাথমিকভাবে লঙ্কানরা কাটিয়ে উঠে রাজাপাকসে এবং গুনাথিলাকার জুটিতে। চতুর্থ ওভারে নাভিন উল হকের ওপর চড়াও হন দুজন। রাজাপাকসের ছক্কা আর গুনাথিলাকার বাউন্ডারিতে ওই ওভারে ১৩ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করার ওভারেও দুটি করে চারটি চার মেরে ২০ রান তুলে নেন তারা। তাতে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে তিন উইকেটে ৪১ রান পায় লঙ্কানরা। ৩১ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন রাজাপাকসে আর গুনাথিলাকা।

কিন্তু দলীয় পঞ্চাশ ছুঁতেই তাদের জুটি ভাঙ্গে। মুজিব উর রহমানকে রিভার্স সুইপ খেলে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ হন ১৭ বলে ১৭ করা গুনাথিলাকা। আফগান অফস্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হাসারাঙ্গা। আট বলে মাত্র দিুই রান করে মিডঅফে নাবির হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই অলরাউন্ডার। ৬০ রানে পাঁচ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। দলের খাতায় চার রান যোগ করতেই সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক দানুশ সানাকা। লঙ্কানদের সপ্তম উইকেটের পতন হয় ৬৯ রানে। দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রানে আউট হন ভানুকা রাজাপাকসে। দলের খাতায় কোনো রান যোগ করতে পারেননি মাহেশ থিঙ্কশন, ফিরেন শূণ্য রানে। দলীয় ৭৫ রানে নয় উইকেট হারায় লঙ্কানরা, সাজঘরে ফিরেন মাথিশা পাথিরানা। শেষ উইকেট জুটিতে চামিকা করুনারত্নে ও দিলশান মধুশাঙ্কার ব্যাটিং দৃঢ়তায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস শতরান পার করতে সক্ষম হন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App