×

পুরনো খবর

পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: সাবেক অধ্যক্ষসহ ৫ জন কারাগারে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২২, ০৬:৫৮ পিএম

পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: সাবেক অধ্যক্ষসহ ৫ জন কারাগারে

বৃহস্পতিবার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নার্সিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ছবি: ভোরের কাগজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নার্সিং কলেজগুলোর বিএসসি ইন নার্সিং (পোস্ট বেসিক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নার্সিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ৫ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলহোতা ও একটি নার্সিং কলেজের প্রশিক্ষক ও শিক্ষক ফরিদা খাতুন (৫১), প্রশিক্ষক মোছা. মনোয়ারা খাতুন (৫২), প্রশিক্ষক ও শিক্ষক মোসা. নার্গিস পারভীন (৪৭), অধ্যক্ষ মোছা. কোহিনুর বেগম (৬৫) এবং নার্সিং কলেজের স্টাফ মো. ইসমাইল হোসেন (৩৮)।

এরআগে, এদিন এক দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানার পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেককে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম ভোরের কাগজকে এ তথ্য জানান।

গত ২৩ আগস্ট ৫ আসামিকে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া কলেজের স্টাফ আরেক আসামি আরিফুল ইসলামকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

জানা যায়, গত ২১ আগস্ট রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১০’র অভিযানে মহাখালী, ধানমন্ডি ও আজিমপুর এলাকা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের কপি এবং ৯টি মোবাইল।

র‌্যাব জানায়, এ চক্রের সদস্যরা গত পাঁচ বছর ধরে নার্সিং পরীক্ষাসহ একাধিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। চক্রের মূলহোতা কোহিনুর বেগম ২০০৮ সাল থেকে ঢাকার একটি সরকারি নার্সিং কলেজে নার্সিং প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে সে ২০১৬ সালে অবসরে যাওয়ার পর একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন।

চক্রটি বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটি, মডারেটর ও ডিন থেকে নির্বাচিত প্রশ্নপত্র প্রিন্টিং ও প্যাকিংয়ে নিযুক্ত গোপন টিমের সদস্য ছিলেন। এ সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা প্রশ্নফাঁস করে কৌশলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App