×

মুক্তচিন্তা

প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা ও চা শ্রমিকদের আন্দোলন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২, ১২:৫১ এএম

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে? টানা ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন শেখ হাসিনা। এই সময়কালে তিনি একাধিকবার বিরোধী দলের সহিংস আন্দোলন মোকাবিলা করেছেন দৃঢ়তার সঙ্গে, বিচক্ষণতার সঙ্গে। এই ১৩ বছরে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে দেশ একটি মজবুত ভিত্তি পেয়েছে বলেই সরকারের পক্ষে করোনার সময়ে কম ক্ষয়ক্ষতিতে বিপদ মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীনদের বাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন, আশ্রয়হীন থাকবে না। আওয়ামী লীগের শাসনামলে মানুষের জীবনে অভাব যে দূর হয়েছে তা সবাই হয়তো মানতে চাইবেন না। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী যে সংকট তৈরি করেছে, তার ধাক্কা সামলাতে সরকারের হিসাব-নিকাশে যে কিছুটা এদিক-ওদিক হতে পারে, সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো সরকারই সব নাগরিকের সব সমস্যার সমাধান করতে পারে না। সব চাহিদাও পূরণ করতে পারে না। মানুষের চাহিদা ও প্রত্যাশার সঙ্গে যে সরকার বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান নিয়ে এগুবে, সেই সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এই বিবেচনায় শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি দেশের বেশি সংখ্যক মানুষের সমর্থন থাকার কথা। শেখ হাসিনার সরকারের কোনো ভুলত্রæটি নেই, তা অবশ্যই নয়। কিন্তু‘ দেখা বা বিবেচনার বিষয় হলো, দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালো দল কোনটি? আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী সম্পর্কে নানা অভিযোগ আছে। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। বিএনপি তৃণমূলের বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কি কোনো অভিযোগ নেই? এর চেয়েও বড় প্রশ্ন, শেখ হাসিনার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য নেতা আর কোন দলে আছেন? কেউ বলতে পারেন, বিকল্প নেই বলেই কি শেখ হাসিনা আজীবন দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন? আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমানতালে চলার মতো অন্য একটি রাজনৈতিক দলের অভাব দেশে আছে। রাজনৈতিক দল হয়তো অনেক আছে কিন্তু দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা কতজন নেতার আছে, তা নিয়ে সংশয়ও আছে। দেশের নেতৃত্বের এই দুর্বলতা কেউ বোঝেন না, তা নয়। বোঝেন বলেই হয়তো দেশে সরকারবিরোধী আন্দোলন জমছে না। মানুষ হয়তো বর্তমান সরকারের কোনো কোনো কাজে অসন্তুষ্ট, বিরক্ত। কোনো কোনো মন্ত্রীর অতিকথনের কারণেও সরকারের ব্যাপারে কারো কারো মনে ক্ষোভ জমছে। তবে এসব রাগ-ক্ষোভ-বিরক্তির জন্য মানুষ সরকার হঠানো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না বলেই সম্ভবত বিএনপি অনেক কসরত করেও বিরোধ ঐক্য সংহত করতে পারছে না। অথচ বিএনপি নেতারা বলেই চলেছেন যে, এই সরকারের আয়ু শেষ। সরকারের পতন হলো বলে! কিসের ভিত্তিতে সরকার পতনের কথা বলছেন বিএনপি নেতারা? সরকার বদলের নিয়মতান্ত্রিক পথ নির্বাচন। নির্বাচনের আরো এক বছরের বেশি সময় বাকি। অন্য পথ গণঅভ্যুত্থান। কিন্তু‘ গণঅভ্যুত্থানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আরেকটি পথ হত্যা বা ষড়যন্ত্র। কেউ কি তাহলে গোপনে অস্ত্রে গুলি ভরতি করছে? এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। দেশে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মতো আঘাত আবারো আসতে পারে- এমন আশঙ্কা জানিয়ে তা প্রতিরোধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আঘাত আরো আসবে জানি। যখন আমার আব্বা দেশটাকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই তো ১৫ আগস্ট ঘটেছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনায় জয় বাংলা ফিরে এসেছে। এগুলো যারা সহ্য করতে পারবে না, তারা বসে থাকবে না। তারা আঘাত করবে। বাংলাদেশকে আবারো জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করবে। সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা ছিল বলেও দাবি করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার বক্তৃতাগুলো অনুসরণ করবেন। তিনি কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রাখার আগে বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, বিরোধী দলের নেতাও কোনো দিন হতে পারবে না।’ এগুলোর তো রেকর্ড আছে। এই বক্তৃতা সে আগাম দিল কীভাবে? যে বিরোধী দলের নেতা হতে পারব না। তার মানে আমাকে হত্যা করবে। এই পরিকল্পনাটা তারা নিয়ে ফেলেছে।” সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ২১ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটা সম্ভব নয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লক্ষ্য তো ছিল আমাকে হত্যা করা, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া চেষ্টা করেছিল। এরপর একাত্তরে চেষ্টা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছিল। আজকে গুম, খুন নিয়ে কথা বলে। আমি তো মনে করি, আমাদের আওয়ামী লীগের যত নেতাকর্মী আছে। ওই জিয়ার আমলে যাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যাদের হত্যা করা হয়েছিল, সবগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আসা দরকার, যে তারা কী করেছিল।’ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে সংসদে আওয়ামী লীগকে তৎকালীন বিএনপির সরকার কথা বলতে দেয়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, “খালেদা জিয়া সেখানে বলে দিলেন, ‘ওনাকে আবার কে মারতে যাবে? উনি তো নিজেই গ্রেনেড নিয়ে গেছে। নিজেই গ্রেনেড হামলা করেছে।’ মানে আমি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। এটাই হচ্ছে তাদের কথা।” বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় বিভিন্ন গোষ্ঠী সরকারকে চাপ দিচ্ছে এমন ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন তাদের সঙ্গে বসতে হবে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের খাতির করতে হবে। তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। এত আহ্লাদ কেন আমি তো বুঝি না। বাংলাদেশে কি আর মানুষ নেই?’ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। যে দলের নেতা হয় সাজাপ্রাপ্ত অথবা পলাতক, সে দল নির্বাচন করবে কী, আর কীভাবে ভোট পাবে? ভোট কাকে দেখে দেবে, এটাই তো প্রশ্ন। তারপরও অনেক চক্রান্ত আছে। এখনো যেমন নানা রকমের চক্রান্ত নির্বাচন সামনে আসলেই শুরু হয়। কিন্তু এ দেশের মানুষের ওপর আমার আস্থা আছে। বিশ্বাস আছে।’ জনগণের ওপর যে শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাস আছে, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ না করেও এটা বলা যায় যে এই আস্থা-বিশ্বাস অটুট রাখতে হলে মালিকদের স্বার্থ দেখার সঙ্গে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখতে হবে অধিক গুরুত্ব দিয়ে। মালিকের সংখ্যা কম। শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। ভোটের রাজনীতিতে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশের চা শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর যে আন্দোলন করছে তা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা অনেককেই পীড়া দিচ্ছে। আজকের দুর্মূল্যের বাজারে একজন চা শ্রমিকের মজুরি মাত্র ১২০ টাকা। ভাবা যায়! চা শ্রমিকদের দাবি দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা। মালিকরা ১২০-১৪৫ টাকা করতে সম্মত হয়েছেন। আমরা আশা করব, সরকার ৩০০ টাকা মজুরির দাবি মেনে নেবে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সন্তোষ রবিদাসের একটি লেখা কদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। চা শ্রমিকের জীবনের কান্না কত গভীর তা বোঝার জন্য এই লেখাটি পড়া জরুরি মনে করে আমি হুবহু উদ্ধৃত করছি : “মৌলভীবাজার জেলার শমসেরনগরে ফাঁড়ি কানিহাটি চা-বাগানের এক চা শ্রমিক পরিবারের ছেলে আমি। জন্মের ৬ মাসের মাথায় বাবাকে হারিয়েছি। মা চা-বাগানের শ্রমিক। তখন মজুরি পেতেন দৈনিক ১৮ টাকা। সেই সময় আমাকে পটের দুধ খাইয়ে, অন্যের বাসায় রেখে মা যেতেন বাগানে কাজ করতে। ২০০৭ সালে আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। মায়ের মজুরি তখন ৮৮ টাকা। একদিন বললেন, ‘বাজারে গিয়ে ৫ কেজি চাল নিয়ে আয়।’ সেই চাল দিয়ে এক মাস চলেছে আমাদের। পরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি মা চাল ভাজলেন। পলিথিনে সেই ভাজা চাল, আটার রুটি আর লাল চা একটা বোতলে ভরে গামছায় প্যাঁচালেন। আর আমাকে আটার রুটি ও লাল চা দিলেন। দুপুরে খেতে গিয়ে দেখি শুধু পেঁয়াজ, শুকনা ভাত, তেল আর লবণ আছে। তা দিয়ে মেখে খেলাম। রাতেও কোনো তরকারি ছিল না। তখন পাশের বাসার কাকু আমাকে ডেকে কুমড়া আর আলু দিয়েছিলেন, যা দিয়ে আমরা দুইটা দিন পার করেছিলাম। তখন কুপি বাতির আলোয় পড়তাম। মা আগেই রেডি করে দিতেন বাতি। তেল শেষ হয়ে গেলে আর পড়া হতো না। দোকানদার বাকিতে তেল দিতেন না। পঞ্চম শ্রেণির পর ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন স্কুলে ৫ বছরের জন্য ফ্রি পড়ালেখার সুযোগ পাই। মা অনেক খুশি হয়েছিলেন। তখন তার সামান্য আয়ের একটা অংশ থেকে আমাকে টিফিন খাওয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা দিতেন। ২০১৩ সালে বিএএফ শাহীন কলেজে ভর্তি হই। তখন মা ১০২ টাকা করে পেতেন। এই সময়ে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কিস্তি তুলে আমার ভর্তির টাকা, ইউনিফর্ম আর বই-খাতা কিনে দিয়েছিলেন। ২০১৪ ডিসেম্বর। মায়ের হাতে টাকা নেই। তখন এইচএসসির রেজিস্ট্রেশন চলছিল। মা ৫০ টাকার একটা নোট দিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেছিলেন, ‘কেউ ধার দেয়নি রে বাপ।’ কলেজের এক শিক্ষকের কাছ থেকে ধার নিয়ে সেবার রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েছিলাম। এইচএসসির পর ভর্তি পরীক্ষার কোচিং। মা তখন আবার লোন নিলেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে। লোনের কিস্তির জন্য এই সময় মা বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে বালু শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বিনিময়ে পেতেন ৩০০ টাকা। আমি জানতাম ঘরে চাল নেই। শুধু আলু খেয়েই অনেক বেলা কাটিয়েছিলেন মা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলাম। মা তখন কী যে খুশি হয়েছিলেন! কিন্তু ভর্তির সময় যত ঘনিয়ে আসছিল, মায়ের মুখটা তত মলিন দেখাচ্ছিল। কারণ চা-বাগানে কাজ করে যা পান তা দিয়ে তো সংসারই চলে না। ভর্তির টাকা দেবেন কোথা থেকে। পরে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সহায়তা করল। বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশনি করেই চলতাম। হলের ক্যান্টিনে ২০ টাকার সবজি-ভাত খেয়েই দিন পার করেছি। অনেক দিন সকালে টাকার অভাবে নাশতাও করতে পারিনি। দুর্গাপূজায় কখনো একটা নতুন জামা কিনতে পারিনি। ২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ মা হিসেবে উপজেলায় মাকে সম্মাননা দেয়া হবে বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জানানো হয়। পরে মায়ের নামটা কেটে দেয়া হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মা আমার চা শ্রমিক। স্টেজে উঠে নাকি কিছু বলতে পারবেন না। তাই নাম কেটে দিয়েছে! মা এখনো প্রতিদিন সকালে একটা বোতলে লবণ, চা-পাতা ভর্তা, আটার রুটি, সামান্য ভাত পলিথিনে ভরে নিজের পাতি তোলার গামছায় মুড়িয়ে নিয়ে দৌড়ান চা-বাগানে। আট ঘণ্টা পরিশ্রম করে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পান! এই মজুরিতে কিভাবে চলে একজন শ্রমিকের সংসার? আজকাল মায়ের শরীর আর আগের মতো সায় দেয় না। বলেন, ‘তোর চাকরি হইলে বাগানের কাজ ছেড়ে দেব।’ আমি এখন সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি…!’’ সন্তোষ রবিদাসের প্রত্যাশা পূরণ হোক এবং একই সঙ্গে চা শ্রমিকদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবি মেনে নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করা হোক। মানুষের মনে ক্ষোভ অসন্তোষ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীদেরও যে সুবিধা হয়, তা-ও মনে রাখতে হবে।

বিভুরঞ্জন সরকার : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App