×

সারাদেশ

ঘরে খাবার নেই, আন্দোলনে অনড় চা শ্রমিকরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২, ০৯:৩২ পিএম

ঘরে খাবার নেই, আন্দোলনে অনড় চা শ্রমিকরা

শ্রীমঙ্গল লছনা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে চা-শ্রমিকরা। ছবি

ঘরে খাবার নেই, আন্দোলনে অনড় চা শ্রমিকরা

শ্রীমঙ্গল লছনা এলাকায় সড়ক অবরোধের ছবি

ঘরে খাবার নেই, আন্দোলনে অনড় চা শ্রমিকরা

ঘরে খাবার নেই, তবু আন্দোলনে অনড় চা শ্রমিকরা। মঙ্গলবার মৌলভীবাজারে বেশ কয়েকটি চা বাগানে কাজ হলেও তিনশ টাকা মজুরির দাবীতে আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) অধিকাংশ বাগানেই চলছে কর্মবিরতি। জেলার বড়লেখা, জুড়ি, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ঢাকা— বিয়ানীবাজার সড়ক অবরোধ করে চা শ্রমিকরা। এতে ভূগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী।

এখন পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল জেরিন চা বাগানে কাজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে শ্রমিকরা আজ বিভিন্ন চা বাগানের নাটমন্দিরে সভাকরে তারা তাদের নায্য মজুরির দাবী তুলে ধরছেন।

গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করার পর মৌলভীবাজারের ১২টি বাগানে কাজে ফিরেন শ্রমিকরা। কিন্তু আজ বুধবার আবারো এসব বাগানসহ জেলার প্রায় সব বাগানেই কাজে যোগ দেননি চা শ্রমিকরা।

৩০০ টাকা মজুরির দাবীতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুড়ি ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঢাকা বিয়ানীবাজার ও ঢাকা মৌলভীবাজার সড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনরত শ্রমিকরা। এতে বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। ভূগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

[caption id="attachment_363832" align="aligncenter" width="1280"] শ্রীমঙ্গল লছনা এলাকায় সড়ক অবরোধের ছবি[/caption]

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা উপজেলার দক্ষিনভাগ এলাকায় ঢাকা— বিয়ানীবাজার সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।

বিয়ানীবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা যাত্রী ইকরাম মাহমুদ চৌধুরী জানান, সকাল সাড়ে ১১টায় গাড়িতে উঠেছেন বড়লেখার দক্ষিনভাগে প্রায় সোয়া ঘন্টা আটকা ছিলেন।

বেলা ২টার দিকে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলা চৌমুহনীতে জুড়ির বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তারা ৩০০ টাকা মজুরির দাবীতে মিছিল করে শ্লোগান দেয়।

শ্যামলী পরিবহরেন চালক তাজুল ইসলাম জানান, জুড়িতে বড়লেখায় ১ঘন্টা ও জুড়িতে দেড়ঘন্টা আটকা পড়েন। সাড় ১১টার গাড়ি শ্রীমঙ্গলে আসতে ২ ঘন্টার স্থলে ৫ ঘন্টা লেগেছে।

এদিকে বিকেল তিনটাকে শ্রীমঙ্গল সাতগাও চাবাগান ফেক্টরির সামনে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে চা শ্রমিকরা। এ বিক্ষোভে শ্রীমঙ্গলের সাইফ, মাকড়ীছড়া, মীর্জাপুর, সাতাগাও, বৌলাছড়া ও ইছামতি সহ কয়েকটি বাগানের শ্রমিকরা অংশ নেন।

সরজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকরা রাস্তার এপার ওপার বাঁশ বেঁধে তাতে বিভিন্ন বাগানের নামে ভেনার ফেস্টুন বেঁধে রাখে। আন্দোলনরত যুবকরা নারী চা শ্রমিকদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে চাপাতা ভর্তা তৈরি করে খাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল সাঁতগাও চা বাগানের বাগান পঞ্চায়েত কাজল কালিন্দি জানান, ১৬দিন হচ্ছে আন্দোলন করছেন। তাদের যৌক্তিক দাবী মালিকরা মানছেন না। তাই বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলন কঠোর করছেন।

আন্দোলনে অংশ নেয়া রাধাকান্ত কৈরী জানান, পেটের জালায় তারা আন্দোলন করছেন। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।

এদিকে বিকেল ৫টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলি রাজিব মাহমুদ মিঠুন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে ৩ ঘন্টা পর বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ ছাড়ান।

শ্রীমঙ্গল আমরইল ছড়া চা বাগানের শ্রমিক সন্তান ও মৌলভীবাজার ছাত্রমৈত্রির নেতা অজিত বুনার্জী জানান, আমাদের দাদা, দাদী, মা বাবারা বছরের পর বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একজন সুস্থমানুষ যদি তাদের কষ্ট কাছ থেকে দেখতেন তাহলে তারা সে কষ্ট বুকে ধরাতে পারবেন না। কিন্তু এটা আর কতদিন। এই যাত্রায় আন্দোলন তুঙ্গে। এই আন্দোলনেই অধিকার আদায় করতে হবে। না হলে চা শ্রমিকদের বঞ্চনার ইতিহাস জনম জনমই থাকবে।

তিনি বলেন, জনমভর আমাদের ধোঁকা দেয়া হচ্ছে এখনও তাই। এই আন্দোলন বন্ধ করার জন্যও নিরহ চা শ্রমিকদের নানাভাবে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

চা শ্রমিক সন্তান তাপস ঘোষ জানান, মালিক পক্ষ বলেছে প্যাকেজে ৪০০ টাকার মতো মজুরি। তাহলে বোনাস কতো আসে। বাসস্থানের অধিকার শ্রমিকদের নায্য অধিকার। এটা আবার বেতনের অংশ হয়? তিনি জানান, দুশ বছর এক জায়গায় বসবাস করেও কি এই জমির মালিক বসবাসকারীরা হতে পারেন না?

এ সময় আমরইল ছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রঙ্গন শীল, চা শ্রমিক নেতা সজল বুনার্জী ও সন্তোষ কর্মকার জানান, চা শ্রমিকদের দুর্বলতা রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতি। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীর দোহাই দিয়ে আমাদের ঠকাতে চায়। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সবই বুঝি। ধানাই পানাই চলবে না। মজুরি বাড়াতে হবে, না হয় আন্দোলন চলবে।

এসময় চা শ্রমিক টুম্পা তাঁতী, সজল দাশ ও জনি পটনায়েক জানান, হয় মজুরি ৩০০ টাকা ঘোষণা আসতে হবে, না হয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি বক্তব্য শোনতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি বক্তব্য শোনলে আমরা মজুরির দিকে তাকাবো না কাজে যোগ দিবো। কারণ প্রধানমন্ত্রী এতে হেস্তক্ষেপ করলে আমাদের ভাগ্য সু প্রসন্ন হবে এটা আামরা বিশ্বাস করি।

চা শ্রমিক সন্তান ও ছাত্রমৈত্রির নেতা অজিত বুনার্জী আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যি সত্যি আমাদের তার সাথে বসতে বলেন তাহলে একটু তাড়াতাড়ি বসলে শ্রমিকদেরও মঙ্গল, বাগানও রক্ষা পাবে লোকসানের হাত থকে।

এদিকে চা বাগান বন্ধ থাকায় সেকশনে দুটি পাতা একটি কুঁড়ি থেকে কোথাও ৫টি কোথাও ৭টি পাতা হয়ে গেছে। যা এখন কাটতে হবে কাছি দিয়ে। আর কাছি দিয়ে পাতা কাটলে নতুন সুট আসতে সময় লাগবে একমাস।

এ ব্যপারে শ্রীমঙ্গল সাতগাও চা বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের বাগানের প্রায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ফেক্টরিতে পঁচেছে উত্তোলিত চা, সেকশনে নষ্ট হচ্ছে কুঁড়ি।

তিনি বলেন, শুধু চলমান ক্ষতি নয়, এতে চা শিল্প দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতিতে পড়বে। এই সময়ে প্রতিদিন নতুন চারার জন্য ডাল কাটা হয় প্রায় ১০ হাজার পিস। যা মাটির বেডে রোপন করা হয়। এবং আগে রোপন করা চারা ট্রান্সফার করার কথা পলিবেগে। যা হয়নি। এটিই এর মুখ্যম সময়। কারণ এই সময়ে যে ওয়েদার তা এর জন্য মুখ্য সময়। এতে আগামী মৌসুমগুলোতে দেখা দিবে চারার সংকট। তিনি বলেন নানামুখী চাপে পড়বে চা শিল্প।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক নাহিদুল ইমলাম বলেন, এটি শুধু আন্দোলন নয়, এটি শিল্প ধ্বংসের একটি পায়তারা। চা শ্রমিক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ শুনেছেন, কিন্তু একটি পক্ষ সহজ সরল চা শ্রমিকদের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে রাজনীতি ঢোকেছে। আছে ভেটের রাজনীতিও।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের সত্যতার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৫ আগষ্ট সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রনালয়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। এটি বাতিল করা হয়েছে, যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি দেখছে। তিনি বলেন, তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে নির্দেশনা আসে প্রধানমন্ত্রী সামনে বিদেশ যাবেন, দেশে আসার পর চা শ্রমিকদের নিয়ে গণভবনের বসে তাদের কথা শুনে ব্যবস্থা নিবেন।

চা শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরা জানান, প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়টি দেখবেন বলেছেন- এটা আমাদের জন্য বড় বিষয়। আমরা চা শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে শ্রমিকদের কাজে যেতে বলেছি। অনেকে কথা শুনছেন অনেকে শুনছেন না। আমরা চেষ্টা করছি শ্রমিকদের বুঝিয়ে কাজে পাঠাতে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেয় শ্রীমঙ্গল ফুলছুড়ি চা বাগান, জেরিন চা বাগান, জুলেখা নগর চা বাগান, কমলগঞ্জের কুরমা, চাম্পারায়সহ বেশ কিছু চা বাগানের শ্রমিকরা। দুপুরে ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। জুড়ি উপজেরার কাপনা চাবাগানে সকালে যোগ দেয় শ্রমিকরা। তবে কাজে যোগ দেয়ার দুইঘন্টা পর অপর একটা অংশ কুরমা, চাম্পারায় ও জুড়ি উপজেলার কাপনা চা বাগান থেকে শ্রমিকদের তুলে নিয়ে আসে। জুড়িথানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় কুমার চক্রবতীর জানান, মঙ্গলবার জুড়ি উপজেলায় ১১টি চাবাগান এর মধ্যে কাপনা চা বাগানে সকালে কাজ শুরু হয়। দুইঘন্টা করার পর একটা অংশ তাদের কাজ থেকে তুলে নিয়ে আসে। বুধবার কোন বাগানেই কাজ হয়নি।

ফিনলে টি কোম্পানির সিইও তাহসিন আহমদ চৌধুরী জানান, সকাল থেকে তাদের বিভিন্ন বাগানে শ্রমিকরা কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু একটা অংশ এসে তাদের আপত্তি দেয়াতে তারা আর বের হননি।

মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, সমোঝতা হয়নি। দ্বি—বার্ষিক চুক্তির পূর্বে একাধিক আলোচনায় মজুরি বৃদ্ধি পায়। এ চুক্তিতেও পাবে। কিন্তু বাগান বন্ধ করা সম্পুন বেআইনী। গত ১০/১২ দিন কোন পাতা উঠানো হলো না- এটি শুধু বাগান মালিকের নয়, রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগস্থ হচ্ছে। এর প্রভাব দীর্ঘ।

এদিকে কাজে না যাওয়ায় হাজরি নেই শ্রমিকদের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন অনেকে। তারা চান দ্রুত এর সমাধান শ্রীমঙ্গল জাগছড়া চা বাগানে একাধিক শ্রমিক আক্ষেপ করে বলেন, ৩০০ টাকা মজুরি দেয়ার কথা বলে আমাদের মিছিলে নিলো। কিন্তু মজুরিতো তিনশ টাকা দিলো না। কাজে যাইনি হাজরি পাবো না। দোকানদার বাকীও দিবে না। আমরা কিভাবে চলবো। তারা বলেন, কেউ কি নাই এর সমাধান করে দেয়ার। এটা তাড়াতাড়ি সমাধান করে দিক আমরা কাজে যেতে চাই।

চা রাষ্টীয় সম্পদ তা নষ্ট না করার আহবান জানিয়ে বাগানে বাগানে গিয়ে চা শ্রমিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌছে দিচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।

তিনি জানান, বাগানে বাগানে গিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের বুঝাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের বাহিরে কিছু শ্রমিক সন্তান আছেন যারা ছাত্রযুব সংসদ বলে দাবী করছেন। তারা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর কোন নির্দেশনা নেই। তাই আমি নিজে বাগানে বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌছে দিচ্ছি।

এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন জানান, চা বাগান বন্ধ থাকায় পর্যটন শিল্পেরও অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে। আন্দোলনের সংবাদ শুনে পর্যটকরা আসছেন না। এতে পর্যটকনির্ভর শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগস্থ হচ্ছেন। তিনি বলেন, দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী এটায় হস্তক্ষেপ করেছেন। এরপরও নিয়ন্ত্রন হচ্ছে না। এর পেছনে অন্যকোন কারণ থাকতে পারে। এ বিষয়ে নজরদারী শুরু করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, চা বাগানগুলোতে বেশ কিছু অ চা-শ্রমিকের আনাগুনা রয়েছে কিনা এ বিষয়টিও নজরদারীতে আনা হচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল গারো লাইনের সাধারণ চা শ্রমিক জননী মৃ বলেন, আমরা কতটা সুখে আছি আপনারা একবার দেখে যান। ১২০ টাকা মজুরি। সাপ্তাহে কিছু আটা। আটাতো সকালের নাস্তায় শেষ। তাহলে চাল, ডাল, তেল, লবন, মরিছ, সবজি, মাছ ১২০ টাকায় কিভাবে সম্ভব।

শ্রীমঙ্গল ফুলছড়ি চা বাগানের শ্রমিক নেতা বিশ্বজিৎ সিং জানান, পাতা বেশি থাকলে কিছু অভার ডিউটি করা যায়। পাতা না থাকলে হয় না। আর অনেকে অতিরিক্ত পরিশ্রমও করতে পারেন না। মজুরি বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে এটাই দুঃখজনক। তারা বলেন, আমরা পরিশ্রম করবো পরিশ্রমের অর্থ দিবে মালিক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App