কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার চান্দের পাড়ায় এক স্কুল শিক্ষিকাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রমতে, শুক্রবার সকালে একটি মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

তবে শুক্রবার ঘটনাটি ঘটলেও মামলা নিতে গড়িমসি হওয়ায় সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে সোমবার (২২ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে।

মামলায় ধর্ষণে জড়িত উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনূছঘোনা এলাকার বেদার মিয়া সহ (২৮) অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

থানার তদন্ত বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এজাহারে আরও করা হয়, গত ১৮ আগস্ট রাতে সদরের পিএমখালীর মালিপাড়া থেকে ওই শিক্ষিকা তার এক ভাগনির মেহেদী অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বেদার মিয়া নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে ইজিবাইকে করে নিজবাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। ওই সময় ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে বেদার ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক আরেকটি ইজিবাইকে তুলে নেয়। পরে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে অস্ত্রের মুখে তারা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী শিক্ষিকার এক স্বজন বলেন, এ ঘটনা পরিবারের লোকজন জানার পর থানায় যোগাযোগ করেন। প্রথমে বলা হয় রামু থানায় মামলা করতে, সেখান গেলে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যেতে বলা হয়। পরে সোমবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানা মামলা নিয়েছে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও জড়িত কেউ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন জানান, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।