×

অর্থনীতি

৪ পয়সার বিপরীতে ডিমের দাম বাড়িয়েছে প্রায় ৩ টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২২, ০১:৪২ পিএম

৪ পয়সার বিপরীতে ডিমের দাম বাড়িয়েছে প্রায় ৩ টাকা

ডিম, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে রবিবার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। ছবি: ভোরের কাগজ

৪ পয়সার বিপরীতে ডিমের দাম বাড়িয়েছে প্রায় ৩ টাকা

ডিম, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে রবিবার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। ছবি: ভোরের কাগজ

কর্পোরেট কোম্পানিগুলো ছাড়াই খুচরা পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীদের নিয়ে মত বিনিময় করলো ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আগামীকাল ডিমের কর্পোরেট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ডাকবে এফবিসিসিআই।

আজ রবিবার (২১ আগস্ট) ভোক্তা অধিদপ্তর ডিম, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এমন শফিকুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

শফিকুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রতি ডিমে ৩-৪ পয়সা বাড়তি খরচ হয়েছে। অথচ ব্যবসায়ীরা ডিম প্রতি দাম বাড়িয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। এটা অনৈতিক। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা মুরগির খাবারে দাম বাড়ার কথা বলেন। কিন্তু জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে এটা হয়নি। ধাপে ধাপে দাম বেড়েছে। তাই এটা কোন অজুহাত হতে পারে না। ব্যবসায়ীদের কাছ ক্রয় রশিদ ও পাওয়া যায় নি। ক্রয়রশিদ রাখতে হবে- এ কথা তারা জানেই না। এসব ব্যবসায়ীদের দেশে থাকা উচিত কী না সেই প্রশ্ন করছেন ডিজি। এ সময় তিনি আরো বলেন, ক্রয় বিক্রয় রশিদ থাকতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, সুপারসপ কোথা থেকে ডিম কিনেন যে প্রতি ডিমে ৪ টাকা বেশি রাখা হয়েছে? ক্রয় বিক্রয় কোনো রশিদ পাওয়া যায় না। ৭ তারিখে একটি দোকানে রশিদে দেখা যায়, ৯ টাকা ৪০ পয়সায় বিক্রি ৯ দশমিক ৬০। ১৭ তারিখ কেনা ৯ টাকা ১০ পয়সা বিক্রি করেছেন ১১ টাকা ৮০ পয়সা। সমিতি থেকে প্রতিদিন দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

ডিমের কারসাজির সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছন এফবিসিসিআই সহ সভাপতি মেস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তিনি বলেন, সৎভাবে ব্যবসা করুন। অভিযান পরিচালনা করলে দাম কমে যায়। এ থেকে প্রমাণিত হয় কারসাজির জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী।

ডিম, মুরগি কারসাজিতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা ভোক্তার পকেট থেকে ব্যবসায়ীদের পকেটে গেছে বলে দাবি ক্যাবের। ক্লাবের পক্ষে মুখপাত্র কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, উৎস স্থলের মূল্য প্রকাশ করা শুরু করেছে ক্যাব। উৎপাদক পর্যায়ে ৭০০-৮০০ টাকার বেশি বিক্রি হয়নি। ১২০ টাকার ব্রয়লার ২১০ টাকায় চলে গেলো। অন্য মুরগীর দাম তুলনামূলক কম। বাজার চাহিদা ও সরবরাহ বিবেচনায় অস্থির হয়নি। এর জন্য দায়ী মধ্যস্বত্বভোগী। ডিম, মুরগি কারসাজিতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা ভোক্তার পকেট থেকে ব্যবসায়ীদের পকেটে গেছে।

তেজগাঁও বহুমুখী ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ বলেন, ৬৫ জন লোক তেজগাঁও ডিম ব্যবসা করে। সরকারের পক্ষ থেকে কোন নীতিমালা এখনো দেয়া হয় নাই। কর্পোরেট কোম্পানিগুলো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ মিয়া বলেন, বিভিন্ন জেলার সাথে সমন্বয় করে দাম ঠিক করা হয়। বাজারে ৯ টাকায় দাম ধরলে তখন কর্পোরেট কোম্পানিগুলো বেশি দামে বাজারে ছাড়ে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App