×

জাতীয়

গ্রিসে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় বাংলাদেশিরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২২, ০৭:২০ পিএম

গ্রিসে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় বাংলাদেশিরা

ফাইল ছবি

গ্রিসের রাজধানী এথেন্স। কিন্তু ওমোনিয়ার এই এলাকায় প্রবেশ করলে মনে হবে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে সন্ধ্যাবেলার আড্ডা চলছে। রয়েছে সিলেটি মার্কেটও। ওমোনিয়ার রাস্তায় সর্ষের তেল, লঙ্কা, ছোলা, চানাচুর আর পেঁয়াজ দিয়ে মুড়ি মাখার গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে। এক ইউরোতে মানে ১০০ টাকায় মিলছে এক ঠোঙা ঝালমুড়ি। অনেক বাংলাদেশি জীবিকার সন্ধানে গ্রিসে পাড়ি জমান।

এখানে ২২ বছর আগে এসেছিলেন জামালউদ্দিন সরদার। তিনি জানান, বাঙালিরা একটি মসজিদও তৈরি করেছে এখানে। তার দাবি, বাঙালিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখানে নেশাদ্রব্য বিক্রি বন্ধ হয়েছে। আগে হেরোইনসহ একাধিক মাদক বিক্রি হতো। খবর ডয়েচে ভ্যালে।

জামালউদ্দিন বলেন, কারিগরদের জন্য গ্রিস খুব ভালো। তবে তার আক্ষেপ, বাংলাদেশিরা বেশিরভাগ ইটালি, ফ্রান্সে চলে গিয়েছে। ২০ থেকে ৩০ বছর গ্রিসে থাকার পরেও বৈধ কাগজ না হওয়ায় তারা এ দেশে থাকতে চাইছেন না। পাসপোর্ট মেলে না, কাগজ রেখে দেয়া হয়, নানা যুক্তি দেখানো হয়। চলতি বছরে কয়েক হাজার বাংলাদেশি গ্রিস ছেড়েছেন। ইতালি, ফ্রান্সের পাশাপাশি জার্মানি আর সুইডেনেও গিয়েছেন কেউ কেউ। ৫০ বছর থাকলেও হয়তো পাসপোর্ট পায় না। কারিগরদের বেতন ভাল। কিন্তু নথি সংক্রান্ত সংকটের কারণে কেউ থাকতে চান না। ৮০ শতাংশ বাঙালি গ্রিস ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পর্তুগালে গেলে পাঁচ বছরে পাসপোর্ট হয়ে যায়।

কিন্তু গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। জামালউদ্দিন আরও বলেন, চুক্তিটা ভাল কিন্তু নিজেদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কাগজ সংক্রান্ত নিয়ম বারবার বদল হচ্ছে।

জামালের কথায়, আগে আনলিমিটেড ছিল, তারপর তা হয়েছে ১০ বছর, তারপর সেটা দাঁড়িয়েছে তিন বছরে। অভিবাসীরা তাই গ্রিসে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। ২২ বছর থেকেও নাগরিকত্বের কার্ড পাননি তিনি। তার মনে হয়, বাংলাদেশের বেকার মানুষদের জন্য গ্রিস এবং বাংলাদেশের চুক্তিটা জরুরি হলেও যে বাংলাদেশিরা গ্রিসে অনিয়মিতভাবে রয়েছেন, আগে তাদের কথা ভাবা উচিত সরকারের।

তিনি বলেন, তিন-চার হাজার বাংলাদেশি ১৮ মাস ধরে জেলে রয়েছেন। তাদের আগে নিয়মিত করা হোক। তারপর যদি এ দেশ মনে করে মৌসুমি শ্রমিক আনবে, সমস্যা নেই। দূতাবাসের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া উচিত যাতে জেলে যারা রয়েছেন, তাদের আগে কাগজ দেয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App