৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ডাকাতের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থী।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাত ১২টার পর হাওর থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিরাপদে কিশোরগঞ্জ পৌঁছে দেয়। তাদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দুজন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ছাত্র।

কিশোরগঞ্জের চামড়াঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ওই ১৪ শিক্ষার্থী হাওরের অলওয়েদার সড়কে ঘুরতে যায়। তারা করিমগঞ্জের বালিখলা থেকে একটি ট্রলার ভাড়া করে মিঠামইনে নেমে অলওয়েদার সড়কে ঘোরাঘুরি করে। সন্ধ্যার পর সেখান থেকে ফেরার পথে প্রচণ্ড বাতাসে হাসনপুর সেতু ও ডুবি গ্রামের কাছে তাদের বহনকারী ট্রলারটি রাত নয়টার দিকে আটকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীরা তাদের বহনকারী ট্রলারটিকে ভাসাতে পারছিলেন না। এ সময় সেখানে ডাকতদের একটি দল ঘিরে ফেলে তাদের। চারদিক থেকে টর্চের আলো ফেলে হামলার প্রস্তুতি নিতে থাকে ডাকাতরা। তখন শিক্ষার্থীদের কেউ একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারে পুলিশের কাছে সাহায্য চায়। বিষয়টি করিমগঞ্জের চামড়াঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে জানানো হয়।

আরও জানানো হয়, চামড়াঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ এনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর ডাকাত দল ওই এলাকা থেকে সটকে পড়ে। পরে সম্মিলিত চেষ্টায় ট্রলারটি ভাসানো হয়। সবাইকে নিয়ে রাত ১২টার দিকে তারা বালিখলা পৌঁছে। রাত একটার দিকে তাদের কিশোরগঞ্জের একটি হোটেলে নিরাপদে পৌঁছে দেয় পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে শুক্রবার সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি। তবে বিস্তারিত কিছুই বলতে রাজি হননি।

আরেক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিবারের কাউকে বলে ঘুরতে যাননি তারা। তাদের দলে কয়েকজন ছাত্রীও ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীদের পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ তৈরি হতে পারে- এমন দুর্ভাবনায় থেকে বিষয়টি গোপন রাখতে চান তারা। এ কারণে গণমাধ্যমে কিছু বলছেন না তারা।

সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি দল হাওরে আটকে আছে, এমন সংবাদ পাওয়ার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে চারজন কনস্টেবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাত্রদের ঘিরে ধরা ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এ সময় ভয়ে পানিতে পড়ে যাওয়া দুইজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়।