×

সম্পাদকীয়

যে কোনো মূল্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখুন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২২, ১২:২৪ এএম

যে কোনো মূল্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখুন

তেলের দাম বৃদ্ধি ইস্যু নিয়ে সর্বক্ষেত্রে এক ধরনের অরাজকতা চলছে। বিশেষ করে নিত্যপণ্যের বাজারে লুটপাট চলছে। যে যেভাবে পারছে মানুষকে হয়রানি করছে। ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। সর্বশেষ ডিম নিয়ে চলছে কারসাজি। ডিম ব্যবসায়ী সমিতির অসাধু সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়িয়েছে। তারা পাইকারি পর্যায়েই ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি দাম নিচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে দাম মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শুধু ডিম নয়- চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, সব নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন নয়। দেখা যায়, পণ্যের পর্যাপ্ত আমদানি ও সরবরাহ থাকলেও তা বেশি দামে বিক্রি হয়। দ্রব্যমূল্যের এই অযৌক্তিক বৃদ্ধির পেছনে কাজ করে বাজার সিন্ডিকেট বা চক্র। তারা যোগসাজশের মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। কখনো কখনো তারা পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। নানা অজুহাত তুলেও বাড়ানো হয় পণ্যের দাম। অতি মুনাফালোভী পাইকারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোক্তাদের জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। এটা স্পষ্ট যে, করোনা-দুর্যোগের প্রভাব এখনো বিদ্যমান। এর মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যাতে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখার কথা জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন কর্মকর্তারা। অবশ্য এসব তৎপরতায় তেমন কোনো সাফল্য আমরা দেখি না। চাল আমাদের প্রধান খাদ্যপণ্য। অথচ এই চাল নিয়ে প্রায় ধারাবাহিকভাবে চলছে চালবাজি। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে সরকার অনেকবার চাল আমদানি করেছে। আমদানি শুল্কও কমিয়েছে কিন্তু ভোক্তারা এর যথাযথ সুফল কখনোই কাক্সিক্ষত মাত্রায় পাননি। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিপণন, বাজার মনিটরিং ইত্যাদি যেসব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে এগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য পরিবহন নির্বিঘœ রাখতে বিশেষ করে কৃষিপণ্যের সরবরাহে যাতে কোনো বাধার সৃষ্টি হতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে সংশ্লিষ্টদের। এর বাইরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা এও মনে করি, কেন্দ্র থেকে স্থানীয় উৎপাদন ক্ষেত্র পর্যন্ত ব্যবস্থাপনাও নজরদারির আওতায় আনা জরুরি। একই সঙ্গে আমদানিকৃত ও দেশজ উৎপাদিত- এই দুই ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন ও নির্বিঘœ রাখার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সিন্ডিকেট করে যারা দাম বাড়ায় তাদের দিকে নজর দিতে হবে। জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে এদের প্রতি। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার। টিসিবিকে বাজার ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখাতে অনেক বেশি সক্রিয় হতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App