×

জাতীয়

আপিল বিভাগের রায়ে সাশ্রয় হবে সরকারের হাজার কোটি টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২২, ০৫:৫৭ পিএম

মূল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান বাতিল সহ অর্পিত সম্পত্তি আইন নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কিছু মতামত ও নির্দেশনা বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ। ফলে, ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান বাতিল করায় সরকারের সাশ্রয় হবে হাজার হাজার কোটি টাকা। শনিবার (২০ আগস্ট) ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আপিলকারী সিনিয়র অ্যাভোকেট মনজিল মোরসেদ এ তথ্য জানায়।

সরকারের সাবেক কর্মকর্তা আবদুল হাই অর্পিত সম্পত্তি আইন চালেঞ্জ করে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন এবং রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলটি নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করেন।

এই বিষয়ে হাইকোর্টর মতামত ও নির্দেশনা ছিল, ভবিষ্যতে আর কোনও সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত করা যাবে না, প্রতিটি জেলায় সম্পত্তি অর্পিত নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা, প্রতি জেলায় আপিল ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্দিষ্ট সময় মামলা নিষ্পত্তি করা, মামলা ফাইল এর ক্ষেত্রে তামাদি আইন প্রয়োগ করা, ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল এর রায় নির্দিষ্ট সময় বাস্তবায়ন করা, সরকারের দখলে থাকা নির্দাবি অর্পিত সম্পত্তি মানুষের উন্নয়নে ব্যবহার করা, প্রয়োজনীয় আইন করে যে সম্পত্তিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোর নামকরণে মূল মালিককে অন্তর্ভুক্ত করা এবং যে সকল অর্পিত সম্পত্তি অপ্রত্যার্পনযোগ্য সেইক্ষেত্রে মালিককে আইন করে ক্ষতিপূরণ দেয়া। ওই মতামত ও নির্দেশনার বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয় আপিল দায়ের করে এবং শুনানি শেষে গত ২ জুন আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দকী আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে প্রণীত আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন, নির্দিষ্ট সময় মামলা নিস্পত্তি, তামাদি আইন প্রয়োগ, ডিক্রি বাস্তবায়ন, আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন, অর্পিত সম্পত্তি উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার ইত্যাদি সংক্রান্ত বিধানগুলি আছে। রায়ে বলা হয় আদালত কোনও আইন করার বিষয় ম্যানডামাস ইস্যু করতে পারে না, সরকারের নিকট ন্যাস্ত সম্পত্তির বিষয় সরকারের উপর আইন করার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।

আদালত রায়ে আরও বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনও সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত না করার বিষয় নির্দেশনা নিরর্থক। কারণ আপিল বিভাগ ইতিপূর্বে দেয়া রায়ে ১৯৭৪ সালের ২৩ মার্চের পরে অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্তি বে-আইনি ঘোষণা করেছে।

আপিল বিভাগের রায় প্রসঙ্গে মনজিল মোরসেদ বলেন, যদি মূল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হতো তাহলে হাজার হাজার একর অর্পিত সম্পত্তি যা সরকারের দখলে আছে সেসব সম্পত্তির মূল্য বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু এ রায়ের মাধ্যমে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App