ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ইডেন কলেজের রাজিয়া হলে এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অডিওতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, বুঝিস না পলিটিক্যাল রুমে থাকিস। তোদের লিগ্যাল করাইছে তাতে আমার কি? আমি যদি একটা সিট না দেই, ২০২ থেকে তোদের কোন বাপ সিট দেবে? ম্যাডামেরা দেবে, ক্ষমতা আছে ম্যাডামদের? ম্যাডামদের ক্ষমতা আছে আমাদের রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার। ইডেন কলেজের প্রিন্সিপালেরও ক্ষমতা নেই এই রুম থেকে একটাকে বের করার। একদম গলায় পাড়া দিয়ে ধরতে ইচ্ছা করতেছে। আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে যেই রুমে বলব সেই রুমে যাবি। আমার সঙ্গে হেডাম দেখাইতে আসে।
এতে পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা যায় ও তো অসুস্থ বাসায় গেছে। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ২০২ (রুম নং) এ আর কে লিগ্যাল? তোরা লিগ্যাল তাতে আমার কি… গেছে? বল? আমি কি …… তোদের। চ্যাটাং চ্যাটাং করতাছোস! এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু। চার মাস হয়ে গেছে, ফাইজলামি শুরু করছিস! এ সময় সুমনা মীর নামে এক মেয়েকে গালমন্দ করতে শোনা যায়।
ইডেন কলেজ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে শোনা যায়, একটা সিঙ্গেল মেয়ে যদি ওই রুমে এসে কন্ট্রোল করতে চাস, সে হোক নেত্রী, ইডেন কলেজের প্রিন্সিপাল ম্যামও কোনো মেয়ে দিতে পারবে না। এইটুকু সেন্স থাকা উচিত ছিল রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নাই।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা বলেন, এটা তেমন কোনো বড় বিষয় না। পলিটিকেল রুমে থাকলে প্রোগ্রাম করতে হবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। তারা প্রোগ্রাম কেন করে না জানতে আসছিলাম। প্রোগ্রাম না করায় তাদের রুম থেকে শিফট করার কথা বলছি। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।
রাজিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ বলেন, আমি রেকর্ডটি শুনিনি। লিখিত কোনও অভিযোগও পাইনি। যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে আর কেউ যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।