×

জাতীয়

শীর্ষ সমুদ্রবন্দরের তালিকায় ৩ ধাপ এগিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২২, ০১:৩২ পিএম

শীর্ষ সমুদ্রবন্দরের তালিকায় ৩ ধাপ এগিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

কন্টেইনার পরিবহনের বিশ্ব তালিকায় তিনধাপ এগিয়ে ৬৪তম স্থানে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দর। আগের বছরের তালিকায় এই বন্দরের অবস্থান ছিল ৬৭তম।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাত ৯টায় অনলাইনে তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে। লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক বিশ্বের পুরনো সামযিকী ‌'লয়েডস লিস্ট' প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে। ২০২১ সালের বিশ্বের ১০০ সমুদ্রবন্দরের পণ্য ওঠানামার তথ্যের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি হয়েছে।

বিশ্বের ১০০ শীর্ষ বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ধারাবাহিকভাবে গত এক দশকে ৩০ ধাপ এগিয়ে ছিল। ২০২০ সালে প্রকাশিত তালিকায়ও চট্টগ্রাম বন্দর ৬ ধাপ উপড়ে ওঠে। কিন্তু করোনা মহামারির ধাক্কায় ১০ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে প্রথমবার পিছিয়ে ৬৭তম স্থানে নেমেছিল দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর যে মুল ধারায় ফিরেছে এই অর্জন তারই প্রমাণ। তিনধাপ এগিয়ে ৬৪তম অবস্থানে পৌঁছেছে এই বন্দর। করোনা সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর, বন্দর ব্যবহারকারীদের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টায় এই বিশাল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

লয়েডস রিপোর্টে, ২০২১ সালে বিশ্বের সমুদ্রবন্দরগুলোতে কন্টেইনার পণ্য ওঠানামার তথ্য বিবেচনায় নিয়েই এরমধ্যে সেরা ১০০ বন্দরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ২০২১ সালে কন্টেইনার ওঠানামা করেছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার একক আর ২০২০ সালের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৩ শতাংশ।

মূলত করোনা মহামারির ধাক্কায় চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা অনেক কমেছিল ২০২০ সালে। সেই বছর পণ্য ওঠানামা হয়েছিল ২৮ লাখ ৩৯ হাজার একক; সেই বছর নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এই বন্দরে। কিন্তু করোনা শুরুর আগে ২০১৯ সালে এই বন্দরে পণ্য ওঠানামা রেকর্ড ছুঁয়েছিল; যার পরিমান ৩০ লাখ ৮৫ হাজার একক কন্টেইনার। আর ২০২১ সালে পণ্য ওঠানামার সর্বকালের রেকর্ড ছুঁয়েছে; যার পরিমান ৩২ লাখ ১৪ হাজার একক। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার রুহুল আমিন বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে কারখানা সচলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী-চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্তের ফলেই দেশের অর্থনীতি সচল ছিল। আর এই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে পুরোদমে ২৪ ঘণ্টা চালু ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। বিশ্বের শীর্ষ বন্দর তালিকার ৬৪তম স্থানে এগিয়ে যায়া এর বড় প্রমাণ।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনের চিত্র থেকে দেশের মোট আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সার্বিক প্রমাণ মেলে। অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশের মোট আমদানির ৮২ শতাংশ আসে; আর রপ্তানি পণ্যের ৯১ শতাংশই যায় এই বন্দর দিয়ে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App