×

জাতীয়

শফিউল্লাহ ও আ স ম রবকে আমরা সন্দেহ করি: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২২, ০৯:১৮ পিএম

শফিউল্লাহ ও আ স ম রবকে আমরা সন্দেহ করি: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ, আ স ম আব্দুর রবকে আমরা সন্দেহ করি। এমনকি জাসদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দকেও আমরা সন্দেহ করি। তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলনায়তনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলোর অংশগ্রহণে গৃহীত পাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সেরা পাঠক-শিক্ষার্থীদের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক ও সাংবাদিক সরাফ আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বেসরকারী গ্রন্থাগার প্রতিনিধি মো. শাহ নেওয়াজ ও বিচারক মণ্ডলীর প্রতিনিধি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত কমিশন করা হবে উল্লেখ করে কে এম খালিদ আরও বলেন, একটি দেশের ইতিহাস, একটি মানুষের ইতিহাস, একটি জাতির ইতিহাস জাতির পিতাকে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার সকল অর্জনসহ সকল ইতিহাস ম্লান করে দেয়া হয়েছে। কমিশনের মধ্য দিয়ে কার কি অপরাধ, কে কে জড়িত এমনকি ষড়যন্ত্রকারী জাসদের কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারতবর্ষের কোনো নেতা বঙ্গবন্ধুর মতো এতো ত্যাগ স্বীকার করেনি। ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ থেকে ২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। এর মাঝখানে জিয়াউর রহমান কোথায় ছিলেন? বলেও মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, সানাউল হককে খুব স্নেহ করতেন বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেকের আপত্তি সত্বেও তাকে রাষ্ট্রদূত করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনার পরই বদলে গেলেন রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত সানাউল হক। সেদিন বেলজিয়াম দূতাবাসের বাসায় অবস্থান করছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ঘটনার পর হুমায়ুর রশীদ চৌধুরীর অনুরোধ সত্বেও তাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন এই রাষ্ট্রদূত।

সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর বলেন, সানাউল হকরা ইতিহাসে ধিকৃত, যারা জাতির পিতার কন্যাদের পাশে ছিলেন তারাই আজ স্বীকৃত। ইতিহাস তাদেরই মনে রাখবে।

গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বই হলো জ্ঞানের ভান্ডার। আমাদের ইতিহাস জানতে হলে বই পড়া কোনো বিকল্প নেই। শিশুরা জিপিএ ফাইভের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে সিলেবাসের বাইরে সৃজনশীল-মননশীল বই পাঠের প্রতি আগ্রহী হয় না। পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট কী ঘটেছিল প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন বইটা না পড়লে অনেক শিক্ষার্থী সেভাবে জানতেও পারতো না। কী দুঃসহ সময়ের ভেতর দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা সেসময় কোথায় গিয়েছেন তার অনেক কিছুই বইটি না পড়লে আমাদের পক্ষে জানা অসম্ভব ছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App