ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস ভাঙচুর, ‘দলবদ্ধ আত্মহত্যার হুমকি’
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২২, ০৯:১৫ এএম
ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান প্রবাসীরা। ছবি: সংগৃহীত
১৫ দিনের আল্টিমেটাম, পাসপোর্ট না পেলে ‘দলবদ্ধ আত্মহত্যার হুমকি’ হাজারও প্রবাসীর
পাসপোর্টের দাবিতে ইতালির রাজধানী রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। বিক্ষুব্ধ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি চ্যান্সরি কমপ্লেক্সে ঢুকে পড়েন। তারা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এতে প্রধান ফটকের দুটি দরজা ও মূল্যবান আসবাবপত্রের ক্ষতিসাধন হয়েছে। অবশ্য তৎক্ষণাৎ ইতালির পু্লিশ এসে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে টানা সাড়ে চার ঘণ্টার দেনদরবার শেষে বিক্ষোভকারীরা ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট না পেলে ‘দলবদ্ধ আত্মহত্যার হুমকি’ দিয়ে স্থানত্যাগ করে। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বরাবর দুটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।
রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান (সচিব পদমর্যাদার গ্রেড-১ অ্যাম্বাসেডর) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বয়সসহ পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনে দীর্ঘদিন ধরে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি অনিয়মিতভাবে চ্যান্সরি কমপ্লেক্স এলাকায় বিক্ষোভ করে আসছেন। তাদের অন্তত ৭০ শতাংশের বয়স ৬-১২ বছর কমানোর আবেদন রয়েছে। যা সরকারের বিদ্যমান নীতিমালা ও সিস্টেমে কভার করে না।
আবেদনকারী ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বয়স কমানোর দাবির বিষয়টি দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উত্থাপন করছিল, যার প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত বয়স কমানোর বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই সুযোগও নিতে পারেননি বর্তমানে বিক্ষোভরত বাংলাদেশিরা। তাছাড়া সেই বিশেষ সুবিধার মেয়াদও গত ২৭ এপ্রিল শেষ হয়ে গেছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, আবেদনকারীদের প্রতি দূতাবাস সহানুভূতিশীল, কিন্তু অনেকে ৬-১২ বছর পর্যন্ত বয়স কমাতে চান, যা অসম্ভবই বটে। তারপরও তাদের দাবিনামা এবং স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে এবং মানবিক বিবেচনায় সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে তা উত্থাপনের আশ্বাস দিয়ে আপাতত বিক্ষোভকারীদের ক্ষ্যন্ত করা গেছে।