×

জাতীয়

ধৈর্য্য ধরুন, সেপ্টেম্বর থেকে লোডশেডিং কমবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৫:২০ পিএম

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। এভাবে কমতে থাকলে দেশের তেলের বাজার সমন্বয় করা হবে। আমরা সবাইকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি। সেপ্টেম্বর মাস থেকে লোডশেডিং কমিয়ে আনা হবে।

রবিবার (১৪ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনে ‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা: অস্থির বিশ্ববাজার’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স অব বাংলাদেশ (এফইআরবি) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক এবং এফইআরবির সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা গভীরভাবে তেলের বিশ্ব বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এটি সাময়িক সমস্যা। আমরা মূল্য সমন্বয় করেছি তা বেশি দিন হয়নি। আমি সবাইকে বলবো আগামী দুই-এক মাস আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরুন। আপনারা একটু সহনীয় হোন। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। আমরা আশাবাদি যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরো কমবে। বাজার একটু সহনীয় হলেই আমরা দেশে তেলের দাম ভালভাবে সমন্বয় করে কমিয়ে নিয়ে আসবো। এই বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কয়েকবারই তেলের দাম সমন্বয় করতে হতে পারে। এসময় সবারই একসঙ্গে পাশে থাকা উচিত।

নসরুল হামিদ আরো বলেন, বর্তমান জ্বালানী সংকট মোকাবিলায় আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। আমরা তো কয়েকমাস আগেও ভালো ছিলাম। আগে জ্বালানি তেল সস্তা ছিলো, এখন বেড়েছে। আমরা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসছি। এদের ক্যাপাসিটি চার্জ নাই। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। আগামীতে এই ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র ১০ থেকে ১৬ ভাগ পর্যন্ত রাখা হবে।

মুল প্রবন্ধে মোল্লাহ আমজাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মাধ্যমে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা উচিত। একই সঙ্গে ভারতের মতো নিয়মিত জ্বালানীর দাম সমন্বয় করতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প নেয়া বন্ধ করতে হবে। অনেক প্রকল্প আছে যেগুলো কোনো কাজেই আসেনি। পুরো ইউরোপ এখন কয়লায় ফিরে যাচ্ছে। আমাদেরও ফুলবাড়ি এবং খালাসপীর কয়লা খনি থেকে কয়লা উঠানোর দ্রুত উদ্যোগ নেয়া উচিত। কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যেই এই কয়লা তোলার সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে আগামীতে সংকট আরো বাড়তে পারে।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন, জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম, অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App