শিল্পকলার আয়োজন
শোকাবহ আগষ্ট উপলক্ষে ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়, স্বপ্নপূরণের দৃঢ় প্রত্যয়’ – শ্লোগানে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দশম দিনের পরিবেশনায় ‘শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি: সুকান্ত ও বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
দ্বিতীয় পর্বে বাঁশির করুণ সুরের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের শুরুতে কবিতা পাঠ করেন কবি সৌম্য সালেক। এরপর পরিবেশিত হয় একক সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও একক শিশু সংগীত। মাইনুল হাসানের কণ্ঠে ‘এ মহা জীবন আর এ কাব্য নয়’; খাইরুল আনাম শাকিল ‘হে মহামানব একবার এসো ফিরে’; মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না ‘রানার চলেছে রানার’; স্মরণ ‘শৃঙ্খল ভাঙা সুর বাজে পায়ে’ এবং শ্রেয়সী রায়ের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ’ শিরোনামে একক সংগীত। এ ছাড়াও আল্পনা রায়, রতন মজুমদার, আবিদ হাসান সেতু, কেয়া দাস, জেরিন তাবাসসুম হক, মাহবুবুর রহমান শান্ত, আসমা আজমেরী এবং রাজিয়া সুলতানা মুন্নীর কণ্ঠে বিভিন্ন শিরোনামে পরিবেশিত হয় একক সংগীত।
সাদিয়াতুত তাইয়্যেবার কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’ ও ‘একবার যেতে দে না’ শিরোনামে এবং আনিকা আজহার কণ্ঠে ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’ ও ‘আমার দেশের মতন এমন দেশ কি কোথাও আছে’ শিরোনামে পরিবেশিত হয় দুটি একক শিশু সংগীত।
সংগীতের পাশাপাশি পরিবেশিত হয় কবিতা আবৃত্তি। ‘দে শলাই কাঠি’ শিরোনামে কবিতা আবৃত্তি করেন দেওয়ান সাইদুর রহমান এবং ‘ছাড়পত্র’ শিরোনামে আবৃত্তি করেন অনন্যা লাবনী পুতুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগীতা চৌধুরী। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের ১১তম দিনের আয়োজন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।