×

জাতীয়

কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধে একই স্ট্যান্ডার্ড জরুরি: টিআইবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২২, ০৭:০৯ পিএম

কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধে একই স্ট্যান্ডার্ড জরুরি: টিআইবি

ফাইল ছবি

কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দেশেবিদেশে সকল প্রকার লেনদেনের স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদানপ্রদান সহায়ক 'কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড' (সিআরএস) অনতিবিলম্বে অবলম্বন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মোকাবিলায় আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের উদ্যোগ স্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুদসহ এ ধরনের ঋণ পরিশোধের বোঝা পুরোটাই জনগণকে বইতে হয়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে- আর্থিক সংকট, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমবর্ধমান ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক ঋণ সহায়তাসহ অন্যান্য চলমান উদ্যোগসমূহ জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে কি-না! অর্থাৎ জনগণের ওপর ঋণের বোঝা না বাড়িয়ে বিকল্প উপায় অবলম্বনের পথ বিবেচনা করা রয়েছে কি-না!

সংস্থাটি মনে করে, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মোকাবিলায় আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের উদ্যোগ স্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হলেও, প্রযোজ্য সুদসহ ঋণ পরিশোধের বোঝা পুরোটাই জনগণের ওপর পড়বে। এ প্রেক্ষিতে প্রায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে কর ফাঁকি ও অর্থপাচার রোধের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বৈদেশিক ঋণের বহুগুণ বেশি অর্থ বাৎসরিক ও টেকসইভাবে উপার্জন করার পথ সরকারের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে বলে মনে করিয়ে দিচ্ছে টিআইবি।

গ্লোবাল ফাইনানশিয়াল ইন্টেগ্রিটির তথ্যানুযায়ী, ২০০৮-২০১৫ মেয়াদে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে পাচার হওয়ার পরিমাণ বছরে ৮.২ বিলিয়ন ডলার, যা হালনাগাদ তথ্যপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ইতোমধ্যে কমপক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে বলে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ক্রমবর্ধমান অর্থ পাচার বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ যে গগনচুম্বী এ বিষয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই।

তিনি আরও বলেন, একইভাবে কোনো সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশের অর্থপাচারের সিংহভাগ আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে মিস্ইনভয়েসিং বা চালান জালিয়াতির মাধ্যমে সংগঠিত হয়। যার ফলে একদিকে যেমন ব্যাপক কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে যে, চলমান সংকটের মতো পরিস্থিতিতে কর ফাঁকি ও অর্থপাচার স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পায়। উল্লিখিত বিশাল মাত্রার অর্থপাচার প্রতিরোধের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য কার্যকর সিআরএস অবলম্বন করা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব। যার সুফল প্রস্তাবিত আইএমএফ এর মত সংস্থার এককালীন আন্তর্জাতিক ঋণের তুলনায় বহুগুণে বেশি হারে ও বাৎসরিকভিত্তিতে সুলভ ও টেকসই ভাবে বৈদেশিক মুদ্রা তথা জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App