×

সারাদেশ

৭৫ মণ ইলিশ এক ট্রলারে, বিক্রি ১৮ লাখে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২, ০৫:২৪ পিএম

ছোট নদীগুলোর জেলেরা আশানুরূপ ইলিশ না পেলেও গভীর সমুদ্রের জেলেরা ঠিকই হাসছে সুখের হাসি। এক ট্রলারেই মিললো ৭৫ মণ ইলিশ। বিক্রি হল ১৮ লক্ষ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে এফবি সাফওয়ান ট্রলারের মাঝি মো. মহসিন মিয়ার বরাত দিয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন মোস্তফা গোলাম কবির।

সোমবার বিকেলে বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে বঙ্গোপসাগর থেকে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে ফিরে আসে ট্রলারটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সকল প্রকার রসদ সঙ্গে দিয়ে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ শিকারের উদ্যেশ্যে যাত্রা করে মোস্তফা গোলাম কবিরের মাছধরা ট্রলারটি। গভীর সমুদ্রের বুকে জাল ফেলতেই ধরা দেয় ঝকঝকে রুপালি ইলিশ।

ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন দেখা মিলছে না জেলেদের জালে কাঙ্খিত ইলিশ সে সময় তারা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে এসে এক ধরনের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলেন।

পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির ভোরের কাগজ লাইফকে বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন জেলেদের জালে ইলিশের দেখা নেই। তখনই আমার জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছে। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করছি। তিনি চাইলেই সব পারেন।

তিনি আরো জানান, রাতেই মাছগুলো বিক্রি করার জন্য বাগেরহাট পাঠিয়ে দিয়েছি সেখানে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, আমার ট্রলার মালিকদের জালে মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়েই ফিরে আসেছে ঘাটে। খুব সমস্যার মধ্যেই তাদের দিন কাটছে, এরই মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারে ৭৫ মন ইলিশ পেয়েছে, এটাতো আমাদের জন্য খুশির খবর। আমার মনে হয় আস্তে আস্তে মাছ ধরা পরতে শুরু করেছে জেলেদের জালে। এরকম সকল জেলেরা মাছ পেলে ট্রলার মালিকরা পিছনের ধারদেনা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছি।

পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, গভীর সমুদ্রে এখন প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে এবং ওই ইলিশের সাইজেও এখন বড়। তবে উপকূলের কাছাকাছি এখন অনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছে মাছ। ধারনা করছি সামনের সময় গুলোতে জেলেদের ঝালে আরো ইলিশ ধরা পরবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App