×

জাতীয়

সরকারের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত বিএনপি: কাদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২, ০১:২১ পিএম

সরকারের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের সময়ে দেশ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত।

আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিদ্যুৎ নিয়ে সম্প্রতি বিএনপির অব্যাহত মিথ্যাচারের জবাবে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি যে অব্যাহত অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে, তা নিজেদের ব্যর্থতা আড়ালের অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।

একই সঙ্গে সম্প্রতি বিএনপি নেতাকর্মীদের বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির অভিযোগ খণ্ডন করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে যারা দুর্নীতির কথা বলেন, তারাই ‘দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক’।

বিরোধী নেতাদের অভিযোগের জবাব দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে দুর্নীতি করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব হতো না, শিল্পায়নের বিকাশ ঘটতো না, অর্থনীতির সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি ঘটত না।

তিনি আরও বলেন, সরকার বরং বিএনপির বেসামাল দুর্নীতি ও লুটপাটের পথ বন্ধ করে দেশের জন্য এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুতের আলো।

বিএনপি নেতারা সহজেই তাদের অতীত ভুলে যেতে চাইলেও জনগণ ঠিকই তা মনে রাখেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের শাসনামলে দেশে দিনে ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকার বৈপ্লবিক সাফল্য দেখিয়েছেন এমনটি উল্লেখ করেছেন সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াট।

বিবৃতিতে মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিলো মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ। বর্তমানে যা শতভাগে উন্নীত হয়েছে।

২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল তিন হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট, বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন, শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুেৎ গ্রাহক সংখ্যা ছিলো এক কোটি আট লাখ। ২০২২ সালের এপ্রিলে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ২৭ লাখ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার আশঙ্কা কাটাতে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশকেও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এর অংশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করা হচ্ছে। যা একটি সাময়িক পদক্ষেপ।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি মহল ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ‘ভুয়া জিগির’ তুলছেন, প্রকৃতপক্ষে ভারত থেকে দেশে আমদানিকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ মোটের উপর মাত্র ১০ শতাংশ। আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে নাকি ১৩ দিনের অকটেন এবং ১৭ দিনের পেট্রোলের রিজার্ভ আছে।

অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সামান্য পরিমাণে বুস্টার ছাড়া দেশে অকটেন ও পেট্রোল আমদানিই করা হয় না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের কনডেনসেট থেকে রিফাইন করে পেট্রোল ও অকটেন তৈরি করা হয়।

আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে তেল মজুদ আছে ৩৭ দিনের, তারা এ কথা বলছেন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য। প্রকৃত সত্য হচ্ছে দেশে তেল মজুদের সক্ষমতা রয়েছে ৪০ দিনের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App