×

জাতীয়

টার্গেটে ক্রেডিট কার্ডধারীরা, কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২২, ০২:৫৭ পিএম

টার্গেটে ক্রেডিট কার্ডধারীরা, কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্র

ফাইল ছবি

নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ খোকন ব্যাপারী ওরফে জুনায়েদ (৩০)।

সিআইডি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি প্রতারক চক্রের অন্যতম হোতা। ক্রেডিট কার্ডধারীদেরকে টার্গেট করে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে আসছিল।

মুলত ৬ ধাপে তারা ভুক্তভোগীকে প্রতারণার ফাদে ফেলতো। এ চক্রে আরো অনেক সদস্য রয়েছে। চক্রটি এখন পর্যন্ত ১ কোটি টাকার মতো প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে।

জুনায়েদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সোমবার (১ আগস্ট) মালিবাগ সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর বলেন, আমাদের একটি চৌকস দল রবিবার (৩১ জুলাই) অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, জুনায়েদের নেতৃত্বে ৩-৪ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদেরকে বিকাশ,নগদ, রকেটের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রায় ৫-৬ বছর যাবৎ প্রতারনা করে আসছিল। ভিক্টিম যোগাড় করার জন্য তারা ফেসবুককে বেছে নেয়। তারা দুটি পেইজ খুলে বন্ধু সংগ্রহ করে। পরে সেখান থেকে ভিকটিম টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে চক্রটি। তিনি আরো বলেন, প্রতারণার কাজটি তারা বিভিন্ন ধাপে করে থাকে।

প্রথম ধাপে, প্রতারক বিকাশ কর্মকর্তা হিসেবে ভুক্তভোগীকে ফোন দিয়ে অ্যাকাউন্ট’ আপডেট করার জন্য বলে, আর অ্যাকাউন্টটি আপডেট না করলে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানায়।

দ্বিতীয় ধাপে, প্রতারক ভিকটিমের ব্যবহৃত বিকাশ অ্যাকাউন্ট ভুল পাসওয়ার্ড ৩ বারের বেশি দিলে ভিকটিমের অ্যাকাউন্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘সাসপেন্ড’ হয়ে যায়।

তৃতীয় ধাপে, প্রতারক ভিকটিমকে জানায় তার অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং একাউন্টে থাকা টাকা ব্লক হয়ে গিয়েছে। এই ব্লককৃত টাকা ভিসা বা মাস্টারকার্ডে ট্রান্সফার করা সম্ভব।

চতুর্থ ধাপে, প্রতারক ভিকটিমের ভিসা বা মাস্টারকার্ডের নাম্বার ও সিভিএন জানতে চায়।

পঞ্চম ধাপে, ভিকটিম উক্ত তথ্য সরবরাহ করলে ভিসা বা মাস্টারকার্ডে নেয়ার সময় ভিকটিম সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে যে মোবাইল নম্বর সরবরাহ করে সেই মোবাইল নম্বরে একটা ওটিপি কোড সম্বলিত একটি ক্ষুদেবার্তা যায়।

ষষ্ঠ ধাপে, ভিকটিম ক্ষুদেবার্তাটি রিসিভ করার পর সেই কোডটি প্রতারক জানতে চায়। কোডটি প্রতারক ভিকটিমের কাছ থেকে পাওয়ার পর ভিকটিমের ভিসা বা মাস্টারকার্ডে থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ ক্রেডিট অর্থাৎ অর্থ প্রতারক তার নিজের বিকাশ এ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে। ভিক্টিমের কাছ প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পর পরই তারা তাদের ব্যবহৃত সকল আইডেন্টিটি গোপন করে রাখে। এ পর্যন্ত সে তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে প্রায় ১ কোটিরও বেশী টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। এ চক্রের আরো সদস্য গ্রেপ্তারে সিআইডি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App