চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে কচুয়া বিশ্বরোডে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, পুলিশ কনস্টেবল রাসেল, পৌর ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম (মেয়রের ছেলে), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির, শাহাদাত হোসেন সফিক, সজিব মোল্লা, প্রদীপ সরকার, বাইজিত, কাইয়ুমসহ আরও দুজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সূত্রপাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের সমর্থিত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করে বর্তমানে এমপি ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীরের অনুসারীরা।

এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং একদল অপরদলকে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আশেপাশের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। পরে হাজীগঞ্জ এবং শাহরাস্তি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শি জানান, গাজী ফারুক ও গাজী কামালের নেতৃত্ব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবের অফিস ভাংচুর করেছে ৷ তারা ভাইস চেয়ারম্যানের অফিসে থাকা টিভি, সিসিটিভি, চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৷ এছাড়া অফিসের সামনে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীদের অন্তত ১০টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে ৷

এছাড়াও হামলাকারীরা ট্রমা হাসপাতালের সাটার ভাংচুর করে ৷ এবং হাসপাতালের জিএম সিফাত হোসেনের উপর হামলা চালায় ৷ এসময় হামলাকারিদের হামলায় ফাহিম, সজিব মোল্লা, প্রদীপ সরকার, বাইজিত, কাইয়ুম আহত হয় ৷ পরে  প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতৃত্বে সৌদিয়া হোটেলে ভাংচুর করা হয় ৷ দফায় দফায় দাওয়া পালটা- দাওয়া চলতে থাকে ৷

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সংঘর্ষস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ সাপেক্ষ্যে আইন আনুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে ৷