যারা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দেখতে চায়, উন্নয়নবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভূ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসী জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার (১ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে মতবিনিময়কালে দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস, সারের মূল্যবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার নানামুখী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন বিশ্বের অনেক দেশ অসহনীয় ও আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হারের দিকে তাকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতা টের পাওয়া যায়।

সাংবাদিকদের সামনে ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন দেশের মূল্যস্ফীতি তুলে ধরে বলেন, জুন মাসে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ছিলো সাত দশমিক ৫৬ শতাংশ।

দেশের ভেতরে অনেকে শুধু মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন শেখ হাসিনা সরকারের সতর্কতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের অবস্থাই তুলনামূলক ভাবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে বলে একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার করছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর জ্বালানি সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়।

পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি দেশ প্রাথমিক জ্বালানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল এমনটা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমদানিকারক দেশ হিসেবে এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই মূহূর্তে পশ্চিমা দেশগুলোসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই জ্বালানি সংকট চলছে। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার।