×

মুক্তচিন্তা

মাস্টারজি, আপনি আমাদের পড়াবেন?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২২, ০১:৫২ এএম

কেবল প্রশ্ন আউট করে ক্রোড়পতি বনে গেছেন ক’জন শিক্ষক। রাজনৈতিক দলের দলভৃত্য হয়ে তাদের দুর্বিনীত ছাত্র সংগঠনের হুকুম তামিল করতে এক পায়ে খাড়া হয়ে থাকেন ক’জন শিক্ষক। আবার ক’জন শিক্ষক যেমন করে হোক শিক্ষাকে অতলে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে গিয়ে বেদম মার খান, প্রাণ দেন। তবে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে শিক্ষক নামের সুজনদের দেখা কমই মেলে- শিক্ষক নামের দুর্জনরা বহু ধরনের অপকীর্তির সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছেন, সমাজ সংসারে তারা যথেষ্ট প্রভাবশালী। কখনো কখনো শায়েস্তা করার বদলে রাষ্ট্রও দুর্জনদের পাশে দাঁড়ায়। দুর্জন শিক্ষক সমাজবিচ্ছিন্ন কোনো মানুষ নন, সমাজের দুর্জনরা যত ধরনের অপকর্ম করেন শিক্ষকও তা-ই করেন, কথিত শিক্ষিত বলে একটু বেশিই করেন এবং শিক্ষক বলে সমাজকে একটু বেশিই প্রভাবিত করতে পারেন। দুর্জনের মডেল খুঁজতে চোর-ডাকাত-খুনি-বদমাশ এসব খুঁজতে হয় না, শিক্ষক সমাজেই তারা দাপটের সঙ্গে বিরাজ করতে পারেন। শিক্ষক হলেও তাদের অনেকের নিত্যকার এজেন্ডায় ‘পড়ানো’ নেই, আর সবই আছে। এই দুর্জনদের প্রায় সবাই রাজনৈতিক তদবির শক্তি ও উৎকোচ শক্তির সম্মিলিত বলে শিক্ষক হয়েছেন; তারা একই কায়দায় পদ ও পদবি সুরক্ষিত রাখেন, সরকার বদলে গেলে মুহূর্তের মধ্যে তাদের কথিত আদর্শ বদলে যায়, নতুন ক্ষমতাসীনদের লেজুড়বৃত্তি শুরু করেন। ভাইস চ্যান্সেলরদের কীর্তি নিয়ে বহু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তদন্ত হয়েছে, তারা বরাবরই বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন। স্কুলের হেডমাস্টারের দুর্নীতির অধিক্ষেত্র তেমন বড় নয়। এর মধ্যেই সর্বোচ্চ নজরে থাকা জেলাগুলোর একটি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মণিমোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষয়িত্রী মিনতি বৈদ্য স্কুলে রক্ষিত ২০২০-২১ সালের ক্লাস সিক্স থেকে নাইনের ২৬ মণ নতুন বই ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন- সংবাদ পত্রিকায় এসেছে, কর্তৃপক্ষও জেনেছে, ক্রেতাও বিক্রেতার নামধাম সব জানিয়েছে- লুকানোর তেমন কিছু নেই। টাকার অঙ্কের যে মিনতি বৈদ্যের বিস্ময়কর একটি অর্জন ঘটেছে এমনও নয়। প্রশ্নটি টাকা নিয়ে নয়, বই নিয়ে। রাষ্ট্রের একজন শিক্ষক, যিনি ‘আদর্শ’ বিদ্যালয়ের প্রধান তার কাছে বই তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়; আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে হোক কি স্কুল ফান্ড সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যেই হোক টাকাটাই মুখ্য, বইয়ের গুরুত্ব নেই। স্কুলের বিজ্ঞান ল্যাবরেটরির সবকিছু বেচে দেয়ার কাহিনীও কোনো এক সময় কাগজে ছাপা হয়েছে। অর্ধেক দামে স্কুল পাঠ্য পুরনো বই কেনা প্রজন্মের মানুষ আমি। প্রকাশকাল হিসেবে পুরনো হোক কি ব্যবহারজনিত কারণে পুরনো- কম টাকায় দুই ধরনের বই-ই আমি ফের কিনেছি, পড়েছি এবং কারো কাজে লাগতে পারে মনে হলে দিয়েও দিয়েছি। মিনতি বৈদ্যের বিক্রি করা ২৬ মণ বই কি কারোই কোনো কাজে লাগত না? যদি কাজে না-ই লাগে স্কুলে এই বইগুলোর সরবরাহ দিয়েছেন কোন কর্তৃপক্ষ? প্রতি বছর সরকার প্রতিশ্রæত বই প্রকাশ, মুদ্রণ ও সরবরাহের ক্ষেত্রে যে সিন্ডিকেট ক্ষমতাধর, এটা কি তাদেরই কাজ নয়? ঢাকা শহরে যে কোনো ভাঙাড়ির দোকানে ঢুঁ মারলে এমন অব্যবহৃত প্রচুর বইয়ের দেখা মেলে, বিভিন্ন সময় আমি দেখেছি। কার লভ্যাংশ বৃদ্ধি করতে লুণ্ঠনমূলক এ কাজটি করা হয়, যে কোনো সচেতন নাগরিক তা জিজ্ঞেস করতেই পারেন। একটি বই একজন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। কিন্তু ২৬ মণ বই একজন মানুষের জীবনের কিছু অর্থ বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না; পারে- সমাজের চোখে তাকে দুর্জন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। হালে শিক্ষক এমপির মার খেয়েছেন, মার খেয়ে বলেছেন, কোন মার? কিসের মার? কার মার? এমপি যে গায়ে ধরেছে, এতেই কি তিনি পুলকিত? বাঙালি মাস্টারমশাই সুজিত চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আউশ গ্রামে সদাই ফকিরের পাঠশালা খুলেছিলেন; সেই পাঠশালা এখন ভালোই চলছে। ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যেসব ভারতীয় সুজন ভাবেন (আমাদের দেশীয় দুর্জনদের মতো বহু দুর্জন ভারতেও বহাল রয়েছেন) তাদের কাছে সদাই ফকিরের পাঠশালার নাম পৌঁছেছে। প্রায় বিনে পয়সায় পড়াশোনা করার একটি উল্লেখযোগ্য মডেল (আদর্শ, তবে মণিমোহন আদর্শ বিদ্যালয়ে মিনতি বৈদ্য যে আদর্শ সৃষ্টি করতে চাইছেন সে আদর্শ নয়)। প্রতিষ্ঠানটির নামে সদাই ফকির যুক্ত কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর সুজিত জেনেশুনেই ১৬৯ টাকা বেতনের স্কুলশিক্ষক হিসেবে যখন যোগ দিলেন তিনি জানতেন, তিনি মাস্টারিই করতে চান, নিজের গ্রামে, নিজের মানুষদেরই পড়াতে চান। তিনি জানতেন যে বেতন পাবেন তা দিয়ে আমির হতে পারবেন না, ফকিরি হাসিল হবে; সদাই ফকির থাকবেন। বয়স ষাট হয়ে যাওয়ায় সুজিত যখন রামনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অবসর নিতে বাধ্য হলেন, তার পড়াবার তৃষ্ণা তো মেটেনি। নিজ বাড়ির বারান্দায় এক টাকার গুরুদক্ষিণায় যখন স্কুল খুললেন, কারো কারো ভাবার সুযোগ হলো- বিনে পয়সার স্কুল, মাস্টারমশাই নিশ্চয় ধনী মানুষ। তিনি স্কুলে সাইনবোর্ড লাগালেন ‘সদাই ফকিরের পাঠশালা’। শিক্ষক সদাই ফকির থাকেন। আমির হলেই তার চরিত্র পাল্টে যায়। সুজিত চট্টোপাধ্যায়ই সদাই ফকির। এমন শ্রদ্ধেয় ফকির হাতেগোনা মাত্র ক’জন। একটি ইংরেজি রচনা থেকে সদাই ফকিরের কিছু কথা ভাষান্তর করছি : ‘আমি বরাবরই খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে উঠি, তারপর গ্রামের চারপাশ ঘুরে আসি। তিন বছর আগে এক তরুণী মাকে পেলাম বাসস্ট্যান্ডে শিশুসন্তানসহ গাড়ির অপেক্ষায় আছে। দিনের আলো তখনো ফোটেনি। আমি যখন তাকে অপেক্ষার কারণ জিজ্ঞেস করলাম- বলল, বাচ্চাটা থ্যালাসেমিয়া রোগে ভুগছে। কয়েক সপ্তাহ পরপর শিশুটিকে রক্ত দিতে হয়। কথা বলতে গিয়ে সে ভেঙে পড়ল- চিকিৎসার খরচ জোগানো যে কঠিন ব্যাপার।’ তাহলে এখন কী করা? সদাই ফকিরের আরো কিছু কথা : ‘যেদিন আমি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি পেলাম, আমি এক মুহূর্ত দেরি না করে আমার জন্মস্থান বাংলার অজপাড়া গাঁ আউশ গ্রামে ছুটলাম- আমি শিক্ষক হব। অন্য স্কুল থেকে বড় বেতনের চাকরির প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু আমার গ্রামের স্কুল যে আমাকে মাসে ১৬৯ টাকা বেতন সাধতে পেরেছে এটাই আমার কাছে অনেক বেশি, এটাই সব। আমার গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াতে আমি উন্মুখ হয়েছিলাম, তাদের সামনে শিক্ষক হিসেবে দাঁড়াব। সে স্কুলে আমি ৩৯ বছর পড়িয়েছি। তারপর এক সময় আমার বয়স ‘রিটায়ারমেন্ট এজ’-এ এসে ঠেকল। ষাট বছর- আমার তখন ষাট বছর- কী হাস্যকর ধারণা। আমাকে অবসর নিতে হবে। আমি ষাট হয়ে গেছি। আমি অবসরপ্রাপ্ত। আমাকে নিয়ে প্রত্যাশা যে আমি আমার জীবনের বাকি বছরগুলোতে চিনি-চা খাব, চারপেয়ের ওপর শুয়ে-বসে দিন গুজরান করব। কিন্তু আমি তো অস্থির হয়ে আছি, আমি যে অবসর নিতে চাই না। আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করতে থাকি এখন আমি কী করব। আমি উত্তরও পেয়ে গেলাম। এক সকালে ভোর সাড়ে ৬টায় ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি সাইকেলে চড়ে আসা তিন তরুণী আমার বাড়ির প্রবেশ পথে অপেক্ষা করছে। তারা মাস্টারজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। ২৩ মাইল সাইকেল চালিয়ে তারা এসেছে। যে করেই হোক মাস্টারজিকে তাদের চাই-ই। তারা করজোড়ে আমাকে বলল, ‘মাস্টারজি, আপনি আমাদের পড়াবেন?’ তারা ২৩ মাইল দূর থেকে এসেছে এবং আমার কাছে পড়তে চায় শুনে আমি এমনিতেই অভিভূত। আমি তখনই সম্মতি দিলাম। বললাম, আমার কাছে পড়তে হলে আগে স্কুলের সারা বছরের মাইনে আমাকে দিতে হবে, পারবে তো? তিন তরুণী বলল, ‘জি মাস্টারজি যেমন করেই হোক আমরা বেতনের সব টাকা আপনাকে দেব।’ আমি বললাম, ‘তা হলে শুনে রাখো, আমার স্কুলের বেতন বছরে এক রুপি।’ আনন্দিত ও উচ্ছ¡সিত হয়ে তারা বলল, অবশ্যই দেবে এবং চারটে করে চকোলেটও দেবে। তারা আমাকে আলিঙ্গন করল। আমিও আনন্দিত। তাদের পড়াতেই হবে। তারা ফিরে গেল। শিগগিরই আমার কাছে পড়তে শুরু করবে। এতদিন যে স্কুলে আমি পড়াতাম সেই স্কুলে গেলাম। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলাম, আমাকে একটি ক্লাসরুম দিন, যখন খালি থাকে তখনই শুধু ব্যবহার করা হবে। কিন্তু তারা আমাকে প্রত্যাখ্যান করল। কিন্তু আমাকে তো থামানো যাবে না। যে করেই হোক আমি পড়াব। বাড়ি ফিরে এলাম, ঘরের বারান্দাটা পরিষ্কার করলাম। ঠিক করলাম, এখানেই আমার স্কুল বসাব। সে দিন যে মেয়েগুলো এসেছিল সবাই পাহাড়ি, উপজাতীয়। ২০০৪ সালে অবসর গ্রহণের পর এভাবেই পাঠশালার শুরু- এখন প্রতি বছর ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে- তাদের প্রায় সবাই উপজাতীয় মেয়ে। ভোর ৬টায় আমার দিন শুরু করি। আমার শিক্ষার্থীদের জন্য দরজা খুলে দিই। মেয়েদের কেউ কেউ কুড়ি কিলোমিটারেরও অধিক দূরত্ব পেরিয়ে হেঁটে হেঁটে আসে। তাদের জন্য আমার অনেক কিছুই করার আছে। এত বছরে আমার শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ প্রফেসর হয়েছে, আইটি ডিপার্টমেন্টের প্রধান হয়েছে। তারা সব সময় আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, তাদের ভালো সংবাদগুলো আমাকে জানাচ্ছে। কখনো চকোলেট কিনে পাঠাচ্ছে। গত বছর আমি যখন পদ্মশ্রী খেতাব পেলাম, আমার ফোন বাজতেই থাকে। তারা আনন্দিত, আমার গ্রামের মানুষ খুশি হয়েছে। কিন্তু এটার ছুতোয় আমি ক্লাস বন্ধ করার সুযোগ দিইনি। আমার দরজা সবার জন্য সব সময়ই খোলা। যে কোনো সময় এসে দেখে যেতে পারেন; আমাদের গ্রামটা সুন্দর। আমার ছাত্রছাত্রীরা মেধাবী- আমি নিশ্চিত তাদের কাছেও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি একজন অতি সাধারণ শিক্ষক, সংক্ষেপে এই আমার কাহিনী- আমি সেইসব সাধারণ মানুষের একজন যিনি চা খেতে পছন্দ করেন, বিকালে চারপেয়ের ওপর একটুখানি ঘুম। আমার জীবনের বড় সাফল্য মাস্টারমশাই হওয়া। আমি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগে পর্যন্ত পড়াতেই চাই- আর এ জন্যই আমাকে এ পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে।’ সদাই ফকির অমরত্বের লোভে পাঠশালার নাম সুজিত চট্টোপাধ্যায় বিদ্যানিকেতন বা বিদ্যাপীঠ রাখতে পারতেন। তিনি জানেন নিজেকে জাহির করানোর মতো দ্বিতীয় কোনো হীনতা নেই। তার পাঠশালা নিবন্ধন করা কোনো স্কুল বা কোচিং সেন্টার নয়। তিনি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের পড়ান। তিনটি মেয়েকে নিয়ে শুরু, দেখতে দেখতে সাড়ে তিনশ, তারপর বছরে তিন হাজারও ছাড়িয়ে গেল। নিজেই পড়াচ্ছেন, সব বিষয়। এক এক করে সারা দিনে তিন শিফট। নিজের ছাত্রছাত্রীদেরই তিনি শিক্ষকও বানালেন। তার পাশাপাশি প্রায় বিনে পয়সাতেই তারাও পড়াচ্ছেন। কুড়ি-পঁচিশ মাইল সাইকেল চালিয়ে শিক্ষার্থীরা আসছে। সদাই ফকির মনে করেন, তারা যে তার কাছে পড়তে আসছে এটাই তো বড় পুরস্কার। যে কোনো সময় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী তার থাকছেই; এখন বেতন বেড়েছে ২ রুপি। ঠিক বেতন নয়, গুরুদক্ষিণা। শুধু কি পড়াশোনা। তার কাছে পরামর্শ নিতে আসা মানুষের লাইন লেগেই থাকছে। থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও সহায়তার নজির সৃষ্টি করেছেন। তার শিক্ষার কেন্দ্র মানব কল্যাণ। নিজের জীবন দিয়েই তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। সদাই ফকিরের পাশাপাশি আমাদের সদাই আমির, সদাই দলবাজ, সদাই স্বজন-তোষণ অপরাধী, সদাই নির্মাণ কাজের কমিশন আদায়কারী, সদাই ফাঁকিবাজ, সদাই দুর্জন শিক্ষকদের নাম কেমন করে উচ্চারণ করি? সদাই ফকিরের কানে সদাই বাজে : মাস্টারজি আপনি আমাদের পড়াবেন? আমাদের কানে কি বাজে? পাদটীকা : প্রকৃত ডিজিটাল সমাজে কাগজ, মুদ্রিত লেখালেখি- এসব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা। সেই কাজটা ত্বরান্বিত করার জন্যই ‘আদর্শ’ স্কুলের শিক্ষক প্রধান বইপত্র বেচে দেননি তো? হয়তো তিনিই সঠিক কাজ করছেন, নতুবা ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে কেমন করে? আমরাই সম্ভবত তাকে ভুল বুঝেছি। ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App