নেত্রকোনার মদনে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী। গত বৃহস্পতিবার রাতে কাইটাইল বাজারের পার্শ্ববর্তী মদন-কেন্দুয়া সড়কে সংঘটিত এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মদন থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মদন থানায় একটি মামলা করেন।

গ্রেপ্তারকৃত ওই দুজনের পরিচয়- বাঁশরী (বাফলা) গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের মঞ্জিল হকের ছেলে অন্তর মিয়া (২৩)।

মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন একই গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুছের ছেলে সারু মিয়া (২৫), কাঞ্চন মিয়ার ছেলে বাছির মিয়া (২৭) এবং শাহানুর মিয়া (৩৮)।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে অটোরিকশায় করে মায়ের সঙ্গে কাইটাইল বাজারের পাশে এসে নামেন ওই কিশোরী। রাস্তার এক পাশে মেয়েকে রেখে অন্য পাশে অটোচালককে ভাড়া শোধ করতে যান তার মা। অকস্মাৎ আরেকটি অটোরিকশায় পাঁচজন যুবক উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যান। তৎক্ষণাৎ মেয়েকে উদ্ধারের জন্য আশেপাশের লোকজন ডাকাডাকি শুরু করেন ওই কিশোরীর মা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাড়রী গ্রামের সেলিম মিয়ার ঘরে আটকে রাখেন গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন বখাটে যুবক। পরে রাতভর ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। পরদিন সকালে হত্যার ভয় দেখিয়ে আরেক দফা ধর্ষণ করার সময় বিষয়টি টের পেয়ে যায় প্রতিবেশীরা।

বখাটেরা পালিয়ে গেলে কিশোরীর পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে তাদের আদালতে তোলা হয়েছে।