গোলাম মওলা রনির বাড়ি রক্ষার রিট খারিজ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৮:৩০ পিএম
পটুয়াখালীর গলাচিপার বাড়ি রক্ষায় বিএনপি নেতা গোলাম মওলা রনির রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি বিরোধপূর্ণ হওয়ায় রবিবার (২৪ জুলাই) রিটটি সরাসরি খারিজ করেছেন বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে প্রায় ১৪ শতাংশ জমির মালিকানা বা দখল দাবি করার অধিকার গোলাম মাওলা রনি হারিয়েছেন বলে মনে করছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আদেশের বিরুদ্ধে রনি আপিলে যাবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
আদালতে গোলাম মাওলা রনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. এমদাদুল হক কাজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এমদাদুল হক কাজী গণমাধ্যমকে বলেন, 'ছয় দশক ধরে এ বাড়িতে গোলাম মাওলা রনির পরিবারের বসবাস। তার ছোট তিন ভাইয়ের জন্ম এ বাড়িতে। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাবেন তিনি। '
জ্ঞানেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর কাছ থেকে রনির বাবা সামসুদ্দীন মুন্সী ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমি কেনার পর ১৯৬০ সাল থেকে এ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন গোলাম মাওলা রনি ও তার পরিবার। এ বাড়ি ১৯৭০ সালের বন্যায় তলিয়ে যায়। তখন জমির দলিলসহ বাড়িসংক্রান্ত নথি নষ্ট হয়ে যায় বলে আইনজীবীর ভাষ্য। ২০০১ সালে ওই জমিতে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। এরপর সরকারি জমি উল্লেখ করে বাড়ি উচ্ছেদের নোটিস দেয় সরকার। চলতি বছর দেওয়া সর্বশেষ নোটিস চ্যালেঞ্জ করে গত ৩০ জুন হাইকোর্টে রিট করেন গোলাম মাওলা রনি।
নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, '২০০৭-০৮ সালে গোলাম মাওলা রনি উলানিয়া বন্দরে চান্দি ভিটার দুই শতাংশ অকৃষি জমি এক বছর মেয়াদে বন্দোবস্ত নেন। বন্দোবস্তের চুক্তি ও অঙ্গীকারনামায় পাকা বাড়ি নির্মাণের শর্ত না থাকলেও সেখানে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন রনি ও তার পরিবার। ২০১৪ সালের পর এ জমির খাজনা পরিশোধ না করায় জমি থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে একাধিকবার নোটিস দেওয়া হয়। তার পরও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ১৯ জুলাই সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কাইয়ুমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হয়। '