×

মুক্তচিন্তা

বিরোধীরা চান টি এন সেশন, ক্ষমতাসীনরা দলনফর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২২, ১২:৩০ এএম

বিরোধীরা চান টি এন সেশন, ক্ষমতাসীনরা দলনফর

টি এন সেশন : একটি কাহিনী ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখমণ্ডল ছিলেন টি এন সেশন। একটি অনালোচিত, পতিত সংস্থাকে তিনি আলোতে এনেছেন, একে অর্থবহ করে তুলেছেন। ‘আমি মনে করি, আমি কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নই, আমি গোটা দেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার। তাই এই ঘুণে ধরা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বদলানোর দায়িত্ব আমারও।’ টি এন সেশনের একটি সাক্ষাৎকার থেকে তার চাকরি জীবনের একটি অ্যাপিসোড তুলে ধরছি। এতে আমলাতন্ত্রের একটি ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠবে : একদিন গুরুত্বপূর্ণ একজন সকাল ১০টায় একটা কাজ করে দেয়ার জন্য আমাকে বললেন। আমি বললাম, না। সকাল সোয়া ১০টায় আমাকে পল্লী উন্নয়নের উপসচিব থেকে অর্থের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হলো। পৌনে ১১টায় আমাকে আরেক দফা বদলি করা হলো ক্ষুদ্র সঞ্চয় দপ্তরে; পৌনে ৫টায় আমি যখন বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন আমাকে করা হলো ডিরেক্টর হিউম্যান ওয়েলফেয়ার, যখন বাসায় ফিরলাম চিফ সেক্রেটারি আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সেশন তুমি কি কৃষ্ণগিরি চেনো?’ আমি বললাম, ‘জি স্যার।’ তিনি বললেন, ‘তুমি কৃষ্ণগিরি যাচ্ছো।’ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে স্যার।’ তাহলে আমাকে কৃষ্ণগিরি পাঠানো হচ্ছে সালেম জেলাটা দুই ভাগ করা হবে, সালেম ও কৃষ্ণগিরি। আমি নতুন জেলা কৃষ্ণগিরির কালেক্টর। তিনি বললেন, ‘কেমন করে সেখানে যাবে?’ ‘স্যার একটা ব্যবস্থা করে নেব। ট্রেন কিংবা গাড়ি।’ তিনি বললেন, আমি সে কথা বলিনি। কৃষ্ণগিরিতে তো কালেক্টরের বাড়ি নেই।’ ‘সেটাই তো হওয়ার কথা, এখনো তো জেলা হয়ে ওঠেনি।’ তিনি বলেই চলেছেন, আমি ভাবলাম একটু না রূঢ় হই। যখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তাহলে তোমার স্ত্রী কী করবেন?’ আমি জবাব দিলাম, ‘সেটা সরকারের মাথাব্যথা নয়।’ পরদিন সাড়ে ১০টায় অফিসে ঢুকে বার্তা পাই, চিফ সেক্রেটারি জরুরিভিত্তিতে আমাকে ডেকেছেন, আমাকে তার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমি তার রুমে গেলাম। তিনি বললেন, ‘সেশন তুমি আর ভেঙ্কটরামনকে কতটা চেনো?’ (রামস্বামী ভেঙ্কটরামন তখন মন্ত্রী, পরবর্তী সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি)। আমি বললাম, ‘স্যার আমি জানি মিস্টার ভেঙ্কটরামন ক্ষমতাশালী মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের একজন (কামরাজ তখন অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদে মোট সদস্য আটজন)। ‘তাকে শেষ কবে দেখেছো?’ ‘দুমাস আগে, ডেভেলপমেন্টের কমিটির বড় সভায়, আমি ছিলাম আমার সচিবের প্রধান ফাইল বহনকারী।’ ‘তোমার সঙ্গে সেখানে তার কথা হয়েছে?’ ‘না স্যার, সচিবের কাছে নথি হস্তান্তরের জন্য তিন-চার ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলাম।’ তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘গত রাতে তার সঙ্গে তোমার দেখা হয়েছে?’ ‘না, স্যার।’ ‘আজ সকালে দেখা হয়েছে?’ ‘না স্যার।’ ‘ভেঙ্কটরামন তাহলে তোমাকে চেনেন কেমন করে?’ ‘স্যার এই প্রশ্নটি আমাকে জিজ্ঞেস না করে তাকে জিজ্ঞেস করাটাই কি সঠিক হবে না?’ ‘ভেঙ্কটরামন তোমাকে ট্রান্সপোর্ট বিভাগের ডিরেক্টর করতে বলেছেন। তিনি তোমার সম্পর্কে কেমন করে জানেন?’ ‘স্যার আমি কখনো তাকে ট্রান্সপোর্টের চাকরিতে আমাকে নেয়ার জন্য বলিনি।’ আমি দরজা পর্যন্ত চলে গিয়ে আবার ফিরে আসি এবং বলি, ‘স্যার ১৫ মিনিটের মধ্যেই কোনো না কোনো প্রশ্ন করার জন্য আপনি আমাকে আবার ডাকতে পারেন। আপনি আমাকে যে প্রশ্ন করেছেন, এ প্রশ্নের বোঝা থেকে আপনাকে বের করে আনার জন্য বলছি : আমার নিজের ভাই-ই ভেঙ্কটরামনের শিল্পসচিব। আমি যেদিন চাকরিতে যোগ দিই, সেদিনই তার সঙ্গে আমার চুক্তি হয়, আমার চাকরি নিয়ে তিনি মাথা ঘামাবেন না; কাজেই আমার ভাই তাকে কিছু বলেননি, আমিও ভেঙ্কটরামনের কাছে কিছু বলার জন্য তাকে অনুরোধ করিনি। আমার পোস্টিং নিয়ে কিছু বলার ধৃষ্টতা তিনি দেখাবেন না। আপনি চাইলে আমি কৃষ্ণগিরি রওনা হওয়ার জন্য তৈরি আছি, আমি যাব।’ আমার পরের তিন বছর কেটেছে ট্রান্সপোর্টে, আমি বাস চালিয়েছি। টি এন সেশন নিজের কথা লিখেছেন, তিনি দরিদ্র ঘরের সন্তান ছিলেন না কিন্তু বিলাসিতার কোনো সুযোগ ছিল না তার। মায়ের অনুমতি না নিয়ে একবার এক রেস্তোরাঁয় চার আনা খরচ করার জন্য বেদম মার খেয়েছিলেন। এ শিক্ষাটা পরিবার থেকে পেয়েছেন; প্রয়োজনে অবশ্যই খরচ করা যাবে, কিন্তু বিলাসিতা নয়। টাকা সরকারের হোক কি ব্যক্তির হোক এটাই হবে খরচের নীতিমালার অংশ। টাকা নষ্ট করা যাবে না, অপচয়ও না। এই নীতি তাকে চালিত করেছে, তিনি জোর দিয়ে বলেছেন : ণড়ঁ রিষষ হড়ঃ ভরহফ বাবহ ড়হব ংরহমষব ৎিড়হম ৎঁঢ়বব রহ সু ধপপড়ঁহঃ. চন্দ্রশেখর যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন আইনমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম স্বামীর সুপারিশে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন। সেশন যখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসনের ওপর এবটি কোর্স করতে যান সুব্রামানিয়াম স্বামীকে সেখানে শিক্ষক হিসেবে পান। তাদের সম্পর্কের সূচনা সেখানেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন বটে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। ‘আমি দুটো নীতি অবলম্বন করলাম : জিরো ডিলে এবং জিরো ডেফিশিয়েন্সি- কোনো কিছুতেই দেরি করা যাবে না আর কোনো কাজে খুঁত রাখা চলবে না। তিনি ১০০ নির্বাচনী অপচর্চা বা ম্যালপ্রাকটিস শনাক্ত করলেন এবং কাজ শুরু করতে গিয়ে দেখলেন কর্তৃত্বের অপব্যবহার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায়। তিনি সমস্যার ভেতরে ঢুকলেন। যখন মাদ্রাজের ট্রান্সপোর্ট কমিশনার ছিলেন, তার অধীনে ছিল ৪০ হাজার স্টাফ আর ৩ হাজার বাস। তিনি দ্রুত ড্রাইভিং শিখলেন, কর্মীদের সঙ্গে ওয়ার্কশপে কাজ করে ইঞ্জিন ওভারহল করতেও শিখলেন। বললেনও, আমি পুরো ইঞ্জিন নামিয়ে মেরামত করে আবার ইঞ্জিন উঠিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিতে পারব অন্য যে কারোর আগে। বাস্তবে তিনি কাজ করেও দেখিয়েছেন। যাত্রীভরা বাস ৮০ কিলোমিটার বেগে তিনি চালিয়ে নিয়ে গেছেন। ২০২১-এর এপ্রিলে বিশ্বদ্বীপ দে লিখলেন কেন আজো অতুলনীয় টি এন সেশন? ‘প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাজের ১০ শতাংশও বোধহয় বর্তমান (ভারতীয় নির্বাচন) কমিশন করে দেখাতে পারবে না। এই ভর্ৎসনার সংবাদই ফের বহু ভারতীয়র মনে উসকে দিয়ে গেল এক প্রবীণ মানুষের স্মৃতি। আজকের প্রজন্ম যারা হয়তো তার নামটুকুই কেবল শুনেছে, সম্ভবত তারাও জানে মিথ হয়ে যাওয়া সেই সংলাপের কথা, ‘আই ইট পলিটিশিয়ান ফর ব্রেকফাস্ট’। আমি রাজনীতিবিদদের দিয়ে প্রাতরাশ সারি। … সেই কবে ১৯৯৬ সালে যিনি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন, কেন আজো তিনি প্রাসঙ্গিক রয়ে গিয়েছেন? এমন ‘আইকন’ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে সাফল্যের কোন খতিয়ান? সে কথা বলতে গেলে একটু পেছন থেকে শুরু করাই শ্রেয়। ১৯৫০ সালে সদ্য স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার হন সুকুমার সেন। সেই শুরু। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত এতজন নির্বাচন কমিশনার এলেও কেউই সেশনের জনপ্রিয়তার ধারে কাছে আসতে পারেননি। ১৯৯০ সালে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হন দোর্দণ্ড প্রতাপ তিরুনেল্লাই নারায়ণ আইয়ার সেশন। প্রশাসনিক হিসেবে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময় ছিল নিঃসন্দেহে ওটাই। মাত্র ৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। আর তাতেই কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন রাজনীতিকদের। কার্যতই হয়ে উঠেছিলেন ত্রাস। অনেকেরই দাবি, তিনি ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচন কমিশনার ছিল কেবল মাত্র একটি পদ। কমিশনের কাজ ছিল নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা। হ্যাঁ, নির্বাচনী বিধি প্রকাশও করা হত। কিন্তু সেশনই প্রথম সেই বিধিপালন নিয়ে চরম কড়াকড়ি শুরু করেছিলেন। বলা হত, রাজনীতিকরা স্রেফ দু’জনকে ভয় পান। ‘ঈশ্বর ও টি এন সেশন।’ সব মিলিয়ে কী ঘটছে? সেশন বললেন, আমরা সর্বত্রই চরিত্র হারিয়েছি। পদার্থ বিজ্ঞানের মৌলিক বিধি অনুসরণে মানুষের প্রকৃতি হচ্ছে ক্যাওস সৃষ্টি করা। যদি ১৫ দিন আপনি আপনার পুত্রের রুমে না ঢোকেন দেখবেন ভেতরটা রণক্ষেত্র হয়ে গেছে, এটাকে পরিষ্কার করতে আপনার শক্তি প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়, যদি এমনই রাখতে চান, শক্তির প্রয়োজন নেই। এটাই থার্মোডিনামিক্সের তৃতীয় বিধি। অর্থাৎ আপনার প্রতিষ্ঠানটিকে আপনি কীভাবে দেখতে চান সে সিদ্ধান্ত আপনার। তিনি নিজে রাজনৈতিক দল গড়লেন না কেন? তিনি বললেন, তাতে কী লাভ? ধরুন সেশন পার্টি গঠিত হলো, আমি নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গেলাম, সেখানে সদস্য ৫৪৫ জন। কথা বলার জন্য আমি কতটা সময় পাব? ৫ বছরে এক হাজার দিন অধিবেশন বসে। হাজারকে ৫০০ দিয়ে ভাগ করলে ২ দিন করে পড়ে, এয়ার হোস্টেসের শাড়ির রঙ কী হবে এ নিয়ে বিতর্ক করে দুদিন কাটিয়ে আবার পরবর্তী নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করব। আমি বরং এমনিতেই ভালো আছি। রাজনৈতিক দল গঠন করা? দেশে ৫৫০টা এর মধ্যেই আছে, আমারটা হবে ৫৫১তম। সেশন প্রয়াত। তার মুখের সেই ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় ভ্রষ্ট ভ্রষ্ট’-এর রাজত্ব ভারতজুড়ে, দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও কোথাও। ‘রাগ সংগীতের আমি ভক্ত। নিজে প্রতিটি রাগ নিয়ে পড়াশোনা করেছি। এই রাগগুলোর বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বারবার আমি নিজের জীবনের বিভিন্ন দিকের তাৎপর্য খুঁজে পেয়েছি।’ ‘আইএএস-কে আমি বলি আই অ্যাম সরি সার্ভিস। মেরুদণ্ড ঝুঁকিয়ে এ কথা বলতে বলতেই জীবনটা অতিবাহিত হয়ে যায়। এখন আমার মনে হয় আনুষ্ঠানিক শিক্ষা যে যত পাবে সে ততই অসৎ হয়ে উঠবে। সিনিক ডিসঅনেস্টি ইন ডাইরেকটলি প্রোপরশনাল টু ফর্মাল এডুকেশন। টি এন সেশনের লেখা দুটি আলোচিত বই ঞযব উবমবহবৎধঃরড়হ ড়ভ ওহফরধ (১৯৯৫) এবং অ ঐবধৎঃ ঋঁষষ ড়ভ ইঁৎফবহ (১৯৯৫)।

পাদটীকা ১ টি এন সেশন ১৯৯০ সালে যখন ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নিলেন তখন ভারতের জনসংখ্যা ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ; সে সময় ভারতের নির্বাচন কমিশনের কর্মীর সংখ্যা কমবেশি ৩০০ জন। ২০২২ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ২০ লাখ; এখনো ভারতের নির্বাচন কমিশনের কর্মীর সংখ্যা কমবেশি ৩০০ জন। বাংলাদেশে এই সংখ্যা কয়েক সহস্র ছাড়িয়ে গেছে এবং নিয়তই শুনতে হচ্ছে ভালো নির্বাচন করার মতো প্রয়োজনীয় জনবল কোথায়? ডিসি এসপিকে সুশীল সমাজ যত গালমন্দই করুন না কেন মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনের সামগ্রিক আয়োজন তাদেরই করতে হয়। এখনো তাদের বিকল্প সৃষ্টি হয়নি, ভারতের মতো দেশও তার প্রয়োজন বোধ করেনি। নির্বাচনটা কেমন হয়- এই প্রশ্নের উত্তর খুবই সোজা। রাষ্ট্র যেমন নির্বাচন চায় তেমনই হয়। টি এন সেশন নির্বাচনের জন্য যাদের ওপর ভরসা করেছেন, তারাই করতে পারেন উত্তম নির্বাচন, যদি সিইসি আর রাষ্ট্রের ইচ্ছে মিলেমিশে একাকার হয়ে না যায়।

পাদটীকা ২ টি এন সেশনের লেখা দিয়েই হোক পাদটীকা: ‘এখন আমাদের দেশে সরকার হয়ে গেছে ‘এড়াবৎসসবহঃ ড়ভ ংড়সব ঢ়বড়ঢ়ষব, ভড়ৎ ংড়সব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ নু ংড়সব ঢ়বড়ঢ়ষব.’ তিনটে স্তম্ভের ওপর আজ ভারতীয় গণতন্ত্র দাঁড়িয়ে আছে, এগুলো হলো- ‘ঈধংয, ঈৎরসরহধষং ধহফ ঈড়ৎৎঁঢ়ঃরড়হ’। এই তিনটি সি-এর গুরুত্ব অসীম। টাকা, সমাজবিরোধী আর দুর্নীতি এটাই আজ গোটা দেশের সর্বত্র।

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App