×

জাতীয়

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে সব দেশের ভূমিকা চায় বিএনপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২২, ০৪:১৯ পিএম

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে সব দেশের ভূমিকা চায় বিএনপি

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব বিদেশি গণমাধ্যমের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের সংগঠন ওভারসিজ করসপন্ডেন্স অফ বাংলাদেশ ওক্যাব আয়োজিত মিট দ্যা ওক্যাব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের কার্যকরী গণতান্ত্রিক ভূমিকা প্রত্যাশা করে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মিহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের সুষ্ঠু নিবাচনের স্বার্থে সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কার্যকর ভূমিকা রাখবে সেই আশা করি।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব বিদেশি গণমাধ্যমের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের সংগঠন ওভারসিজ করসপন্ডেন্স অফ বাংলাদেশ ওক্যাব আয়োজিত মিট দ্যা ওক্যাব অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। এ সময় আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা কাদির কল্লোল, সদস্য সচিব জার্মান ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডিপি এর প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মিঠুসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না জানিয়ে তিনি সরকারের পদত্যাগ হচ্ছে একমাত্র সমস্যার সমাধান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সংলাপের কোন সুযোগ নেই, এক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ নিতে হবে নইলে রাজপথে সমাধান হবে।

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের মিল প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি অবস্থা, আমাদেরও তেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ, বিদ্যুৎ গ্যাস, যার সঙ্গে বাংলাদেশের মিল রয়েছে যে কারণে আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির মিলের কথা বলেছি। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে জনসভার মাধ্যমেই আমরা ঘোষণা দিয়েছি নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।

সংকট নিরসনে সংলাপ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক সংকটের সময় সরকারকে উদ্যোগ নিতে হয়। এই সরকার যদি চায় দেশে কোন বিশৃঙ্খলা দেখতে চায় না, মারামারি কাটাকাটি দেখতে চায় না। তাহলে অবশ্যই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা করতে, হবে যেটা আমরা করেছিলাম।

তিনি বলেন,আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি জাতীয় ঐক্য গঠন করার জন্য। যতগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি সেখানে একটি বিষয়ে একমত হয়েছি যে আমরা দুর্বার আন্দোলনে যাব। হরতাল প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ২০১৪ সাল থেকেই আন্দোলন করছি। আমরা সমগ্র বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলাম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আন্দোলনেই বলে দেবে আন্দোলনের ধারা কোন দিকে যাবে।

তিনি বলেন, এখন আওয়ামী লীগ সরকার পুরোপুরিভাবে একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। একদিকে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হচ্ছে অপরদিকে বিভিন্ন খাতে ফেল করছে ব্যর্থ হচ্ছে জনগণের সমস্যা সমাধান করতে। দ্রব্যমূল্য আকাশ চুম্বি হয়ে গেছে এই বিষয়গুলোতে সরকার এমনিতেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী এবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবো।

দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিএনপি মুখপত্র বলেন,জ্বালানি তেলের যে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে তার প্রভাব পড়েছে। গ্যাসের দামের উপর পুরোপুরি ভাবে আমদানি নির্ভর করছে। দুর্ভাগ্যক্রমে এই সরকার ১৫ বছর ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু তারা নিজেদের গ্যাস উত্তোলনের কোন ব্যবস্থা করে নি। এখানে ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য ফ্যাক্টরির মধ্যে গার্মেন্টস গুলো বিপদের মধ্যে পড়েছে। গ্যাস না পাওয়ার ফলে উৎপাদন খরচটা বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অন্যান্য কল-কারখানা যেগুলো রয়েছে জ্বালানোর জন্য ভুগছে। পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে অনেক ধরনের বড় সংকট তৈরি হচ্ছে।

বিএনপির নেতৃত্ব প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয় চেয়পারপারসন খালেদা জিয়া আমাদের আমাদের নেত্রী। তার অবর্তমানে চেয়ারম্যান তারেক রহমান রয়েছেন এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App