×

জাতীয়

রেলে দুর্নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২২, ০৮:৪৫ এএম

রেলে দুর্নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

কমলাপুর রেলস্টেশনে রেল অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে মহিউদ্দিন রনি। ফাইল ছবি

** ছাদে যাত্রী নেয়া নিষেধ ** পদক্ষেপ জানাতে হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ** প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন রনি **

রেলের টিকেট কালোবাজারি, কোটায় টিকেট কাটা, যাত্রী হয়রানিসহ নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে সাধারণ যাত্রীরা চরম ক্ষুব্ধ। ঈদ ও উৎসব ঘিরে এ দুর্নীতি আরো বেড়ে যায় বলেও অভিযোগ তাদের। দীর্ঘদিনের এ অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন রনি। তার এ প্রতিবাদ নাড়া দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকেও। রেলের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার পাশাপাশি ছাদে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এদিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষেও কর্তৃপক্ষের ‘যথাযথ আশ্বাস না পাওয়ায়’ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন রনি।

প্রতিবাদের সূত্রপাত যেভাবে : ১৩ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনের টিকেট কেনার চেষ্টা করেন রনি। তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়া হলেও ট্রেনের কোনো আসন তিনি পাননি। পরে কমলাপুর রেলস্টেশনে সার্ভার কক্ষে অভিযোগ জানালে সেখান থেকে তাকে ‘সিস্টেম ফল’ করার কথা বলা হয় এবং ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না পেলে আবার যেতে বলা হয়। কিন্তু ওই মুহূর্তে ওই কক্ষে থাকা কম্পিউটার অপারেটর ৬৮০ টাকার আসন ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছিলেন।

সহজ ডটকমের এ অব্যবস্থাপনা নিয়ে ১৪ ও ১৫ জুন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন রনি। কিন্তু সেখান থেকে কোনো জবাব বা শুনানির জন্য ডাক আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে ৭ জুলাই থেকে তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন। পরে পুলিশ বাধা দিলে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী তার সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নেন। তবে রনি একাই এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে রনির দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। রনির দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে চট্টগ্রাম, জামালপুর ও নোয়াখালীতে রেলস্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

হাইকোর্টের নজর : রনির অভিযোগ ও প্রতিবাদের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে টানা প্রচারিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ বিষয়ে খোঁজ নেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত বুধবার দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিককে প্রতিবাদী রনির অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত হন রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশন) সালাহ উদ্দিন, পরিচালক ট্রাফিক (বাণিজ্যিক) মো. নাহিদ হাসান খাঁন এবং সহজ ডটকমের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জুবায়ের হোসেন। এই বিষয়ে বেলা ১১টায় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন।

শুনানির শুরুতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আদালতকে সম্মান দেখিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মহিউদ্দিন রনির স্মারকলিপিতে থাকা দাবিগুলো তদন্তে কমিটি গঠন করেছে। এ সময় আদালত ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেয়া, টিকেট কালোবাজারি বন্ধ এবং ঢাবি শিক্ষার্থী রনির ৬ দফা দাবির বিষয়ে রেলওয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন। ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেবেন বলেও জানান আদালত।

শুনানির একপর্যায়ে আদালত উপস্থিত রেল কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেলে এত অব্যবস্থাপনা কেন থাকবে? কেন টিকেটে কালোবাজারি হবে? আপনারা কি রেলকে গ্রাস করতে চাইছেন? ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়ে রেলের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্দেশে হাইকোর্টের প্রশ্ন, কেন ট্রেনের ছাদে লোক ওঠে? এটা কি পয়সা আয়ের পথ? জবাবে রেলের যুগ্ম মহাপরিচালক এ এম সালাউদ্দিন বলেন, মাই লর্ড, যাত্রী ছাদে ওঠা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, এটা আমাদের ব্যর্থতা।

আদালত আবার জানতে চান, ছাদে বা দাঁড়িয়ে যারা যাচ্ছেন তারা কি টাকা দিচ্ছেন না? আদালত মন্তব্য করেন, এটা তো দুর্নীতি। আর ছাদে যাত্রী ওঠা বন্ধ করতে পারছেন না! এই অসহায়ত্ব প্রকাশ করলে কি দেশ চলবে? অসম্ভব বলে কিছু নেই। ঠিক হতে আর কতদিন সময় লাগবে? দেশ স্বাধীনের তো ৫০ বছর হয়ে গেছে।

আদালত আবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সব ক্ষেত্রে কিছু সিন্ডিকেটের কারণেই দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। রেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। সেই সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠে। ট্রেন থেকে পড়ে তো দুর্ঘটনাও হতে পারে। আর আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমান।

আদালত আরো বলেন, আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও রেল কর্মকর্তারা ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহনের অনুমতি দেন। এই যাত্রীরা তো আর বিনা পয়সায় ভ্রমণ করেন না। যাত্রীদের এই অর্থের ভাগ রেল কর্মকর্তারা পান বলেই ট্রেনের ছাদে যাত্রী ভ্রমণ করেন। এ সময় হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দেন, আজ (গতকাল) থেকে রেলের ছাদে যাত্রী ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হলো। যদি যাত্রী ভ্রমণ করে, তাহলে এর পরিণতি কী হবে, সেটা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারবেন না।

এরপর আদালত সহজ ডটকমের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জুবায়ের হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং টিকেট অব্যবস্থাপনা নিয়ে রনির অভিযোগ বিষয়ে জানতে চান। জুবায়ের হোসেন আদালতকে বলেন, অনলাইনে টিকেট পেতে ১৫ মিনিটের মধ্যে পেমেন্ট করতে হয়। কিন্তু তিনি ১ ঘণ্টা পর পেমেন্ট করেছিলেন, তাই টিকেট পাননি। তবে তিন দিন পর তিনি পেমেন্ট করা টাকা ফেরত পেয়েছেন।

হাইকোর্টে শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খানও সহজ ডটকমের কথার বিরোধিতা করে বলেন, মাই লর্ড, সহজ ডটকম এটা বলে পার পেতে পারে না। গত বুধবার ভোক্তা অধিকার তাদের অনিয়ম পেয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে, যেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা রনি পাবেন। এ সময় সহজ ডটকমের ভাইস প্রেসিডেন্ট আদালতকে জানান, তারা ভোক্তা অধিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

রনির ৬ দফা : রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি গত ৭ জুলাই থেকে কমলাপুর টিকেট কাউন্টারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ৬ দফা দাবিগুলো হলো- ১. টিকেট ব্যবস্থাপনায় সহজ ডটকমের হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে হবে। ২. যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে। ৩. অনলাইনে কোটায় টিকেট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে। সে সঙ্গে অনলাইন-অফলাইনে টিকেট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ৪. যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। ৫. ট্রেনের টিকেট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেল সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। ৬. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা : অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারকে ৬ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেন রনি। এ দাবি মেনে নিতে তিনি ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষের ‘যথাযথ আশ্বাস না পাওয়ায়’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন রনি। একই সঙ্গে সারাদেশে ‘ভুক্তভোগীদের’ রেলস্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালনেরও আহ্বান জানান তিনি। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তার এ অবস্থানের কথা তুলে ধরার সময় বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রনি বলেন, আমি ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো আশ্বাস আমাকে ভালোভাবে দিতে পারেননি। আমি শুধু একটা আশ্বাস চেয়েছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটাতে হস্তক্ষেপ করুক। কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানাচ্ছে না। কারণ দুর্নীতির খবর ও গোপন তথ্য বেরিয়ে আসলে তারা টিকে থাকতে পারবে না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেহেতু তারা কিছুই করতে পারেনি, আগামীকালকের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা স্টেশনে সর্বসাধারণ দাঁড়িয়ে যাবেন। ছয় দফা আমার একার নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষের। যেখানে যেই ভুক্তভোগী আছেন, আপনারা সেখানে অপ্রতিরোধ্য দুর্গ গড়ে তুলুন।

কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতে বাধা : সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর রনি ও তার সঙ্গীরা রেলস্টেশনের ভেতরে ঢুকতে গেলে রেল পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের বাধা দেন। কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর তারা বাধা পেরিয়ে রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সামনে চলে যান। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের জায়গা থেকে কিছুটা সামনে মেঝেতে বসে তারা রেলওয়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ক্লান্ত রনি প্লাটফর্মে শুয়ে পড়েন। পরে সন্ধ্যায় তারা শাহবাগ মোড়ে চলে আসেন, অবস্থান নেন সড়কের পাশে।

সেখানে রনি সাংবাদিকদের বলেন, ওরা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। আনসার বাহিনী সেখানে প্যারেড গ্রাউন্ড বানিয়ে রেখেছে। পুলিশ, রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আনসাররা আমাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিয়েছে, ধাক্কা দিয়েছে, লাঠিচার্জ করেছে। দুর্নীতিবাজরা আমার ভাইবোনদের গায়ে হাত দিয়েছে। এটা আমি কোনো মতেই মানব না।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদেরও শাহবাগে আসার আহ্বান জানিয়ে রনি বলেন, অনেক সহ্য করেছি আর না। যে যে প্রান্তে আছেন, শাহবাগে চলে আসেন। এবার কথার পিঠে কথা হবে, থাপ্পড়ের বদলে থাপ্পড় হবে, হামলার বদলে পাল্টা হামলা হবে। তবুও ওদের দুর্নীতিকে ধ্বংস করবই ইনশাআল্লাহ।

অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি মাজহারুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। কোনো বাধা দেয়নি, ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটেনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App