×

জাতীয়

নিষিদ্ধ থাকার পরও ঈদে ৩৯ শতাংশ প্রাণহানি মোটরসাইকেলে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২২, ১১:৪০ এএম

নিষিদ্ধ থাকার পরও ঈদে ৩৯ শতাংশ প্রাণহানি মোটরসাইকেলে

প্রতীকী ছবি

নিষিদ্ধ থাকার পরও ঈদে মোটরসাইকেলে ৩৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ প্রাণহানি সংঘটিত হয়েছে। ১৫৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১২৩ জন।

ঈদের আগে সাতদিন মোটরসাইকেল চলাচলে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও অনেকেই তা অমান্য করেছেন। ট্রাফিক আইন ও নির্ধারিত গতিসীমা না মেনে চালানোর ফলেই এবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার বেশি।

এছাড়া, ঈদুল আজহার আগে ও পরের ১২ দিনে সারাদেশে ২৭৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩১১ জন। যার মধ্যে ৪৩ নারী এবং ৫৮ শিশুও রয়েছেন। পাশাপাশি এই ক’দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ১৯৭ জন।

গত ৫ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য অবহিত করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করে সংস্থাটি। একই সময় নয়টি নৌ দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৩ জন এবং এখনও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সঙ্গে, ১৪টি রেল দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও চারজন আহত হন।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১২৩ জন, বাস যাত্রী ৩৩ জন, ট্রাক-পিকআপ-লরি আরোহী ১৬ জন, মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার যাত্রী ১৮ জন, ত্রিচক্রযানে (রিকশা, ভ্যান ইত্যাদি) ৫৭ জন, স্থানীয়ভাবে নির্মিত গাড়ির যাত্রী (নসিমন-আলমসাধু-টমটম-মাহিন্দ্রা-পাওয়ার টিলার) ১০ জন এবং বাইসাইকেল-পেডেল রিকশা আরোহী আটজন নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১০৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ৭৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৬১টি গ্রামীণ সড়কে এবং ২৭টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৭৬টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৯৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৫১টি পথচারীকে চাপা কিংবা ধাক্কা দেয়া, ৪২টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ছয়টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

সবচেয়ে বেশি ১৫৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে ৩১ দশমিক ১৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২২ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। অন্য গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশের বয়স ১৪-২০ বছর এবং নিহত পথচারীদের ৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হয়েছে।

২০২১ সালের ঈদুল আজহা উদযাপনকালে ৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৫ জন নিহত হয়েছিল। এ হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর ঈদুল আজহায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৮৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। অপর দিকে, প্রাণহানি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App