সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই জাতীয় সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করার জন্য সমস্ত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবে বলে জানান। সেই পথেই জনগণের মুক্তি বলে মনে করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

শুক্রবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলটির মিডিয়া সেলের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তাদের এমন অবস্থানের কথা জানান।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে নির্বাচন কমিশন চলমান রাজনৈতিক সংলাপে ডাকলেও সেই আহবানে সাড়া দেয়নি দলটি। বরং নির্দলীয় সরকারের দাবিতে অনড় থেকে জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় দলটি।

ফখরুল বলেন, যদি আন্দোলন সংগ্রামে জয়ী হয়ে আসতে পারি তাহলে আমরা আন্দোলনের সংগ্রাম অংশগ্রহণকারী সকল দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব। সেই জাতীয় সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করার জন্য সমস্ত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমরা সেই পথে এগিয়ে যাব যে পথে জনগণের মুক্তি।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার, এই সরকারের তাদের ব্যর্থতা ও অপকর্মের দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন ও সেই সরকারের অধীনে সংসদ গঠন করতে হবে।

শুধু বিএনপি নয়, সমগ্র জাতি আজ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে বলে মনে করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এসে মনে হচ্ছে আসলে কি আমরা স্বাধীন দেশ বিনির্মাণ করতে পেরেছি কিনা? এখন যারা ক্ষমতায় আছে সেই ফ্যাসিস্ট সরকার সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতায় আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ কঠিন সঙ্কটে। করোনাকালে ভঙ্গুর অর্থনীতিকে কার্যকর রাখতে আমরা বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। যা সরকার কর্ণপাত করেনি। ফলে, এখন অর্থনীতির ভয়াবহতা ফুটে উঠছে।

বিদুৎ উৎপাদনের নামে কুইক রেন্টালে নামে ভয়াবহ দুর্নীতি চলছে, যা জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।মেঘা প্রজেক্ট দিয়ে জনগণের ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আজকে দেশে দারিদ্র্য সীমার হার বেড়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য , অর্থনীতিসহ সামগ্রিক ধ্বংসের দিকে যাত্রা ।

তিনি আরোও বলেন, দল, মত বা কোনও ব্যক্তি-গোষ্ঠীর নয়, সবাইকে এই সরকারের কাছে জবাব চাইতে হবে। এই সরকারের জবাবদিহিতার জায়গা নেই , কারণ তারা নির্বাচিত নয়। তাদের লক্ষ্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে ২০১৮ সালের মতো আগামীতে আরেকটি নির্বাচন করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, বিএনপির মিড়িয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, শায়রুল কবির খান ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিড়িয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।