×

জাতীয়

প্রয়োজনে দায়িত্ব ছেড়ে দেবো: সিইসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২২, ০১:৩৪ পিএম

# নির্বাচনের নামে নাটক হবে না

কোনো উপায়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অপরিহার্য। এ জন্য প্রয়োজনে দায়িত্ব ছেড়ে পথ সুগম করে দেবার কথা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ করবো না।

আজ সোমবার (১৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সিইসি বলেন, দায়িত্ব থেকে বিতাড়িত করতে হবে না। দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে পথ সুগম করে দেব। দেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অপরিহার্য।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংকটে পড়ে গেছি। বড় একটি দল বলছে নির্বাচনে অংশ নেবে না। আরেকটি দল বলছে নির্বাচন হবে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত বা কাঙ্ক্ষিত যাই হোক, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।

সংলাপ চলাকালে সিইসি বলেন, বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে নতুন কোনো ব্যবস্থায় নির্বাচনে আসে তাতে ইসির কোনো আপত্তি থাকতে পারে না। আমরা চাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। অনুকূল পরিবেশ ও সমতল ভিত্তি তৈরি করতে চাই। একটি জবাবদিহিমূলক দায়িত্বশীল সংসদ দরকার।

এ সময় জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার ও দেশের এই সময়ের রাজনীতির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হতে হবে। সেখানে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন যদি নির্বাচন না হয়, নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ হোক সেটা আমরা কখনও চাইবো না। আপনারাও চাইবেন না।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দাবির বিষয়ে ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ চলাকালে তিনি বলেন, যেভাবেই হোক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। সুন্দর সংসদ ও সরকার গঠিত হোক এটাই আমরা চাই। বিএনপি যেটা দাবি করছে- আলোচনা ও সংগ্রামের মাধ্যমে বিএনপিকে তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ এটির সঙ্গে সংবিধান জড়িত।

সংলাপে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ভোটের সময় জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও স্থানীয় সরকার- এই পাঁচ মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে আনার প্রস্তাব দেয়। একে জটিল বলে মনে করেন সিইসি বলেন, এর সঙ্গে জটিল অনেক সাংবিধানিক বিষয় জড়িয়ে আছে। এটি নিয়ে সব রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে সংলাপ করতে পারে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনেক ক্ষমতা রয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, অতীতে হয়তো কোনো কারণে সেই ক্ষমতা পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা সেটি প্রয়োগ করার চেষ্টা করবো।

সংলাপে সিইসি, অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। আর বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

দলের মহাসচিব এম এ মতিন বলেন, তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা কখনোই স্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে না। স্বাধীন ইসিই জাতিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে। তবে ইসির ক্ষমতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে নয়টি সুনির্দিষ্ট দাবির কথা তুলে ধরা হয়।

এরপর বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App