×

জাতীয়

কোচ নেই তবু বিক্রি হয়েছে জামালপুরের ‘গ’ বগির টিকেট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২২, ০৫:০১ পিএম

ঢাকা থেকে জামালপুর এক্সপ্রেসের গ বগিই ছিল না তবু বিক্রি হয়েছে এই এসি বগির ৭০টি টকেট। এ জন্য অনলাইনে টিকেট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সহজ ডট কমের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন যাত্রীসহ রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের এমন বিড়ম্বনার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন এর জন্য সহজ ডটকম দায়ী। কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই বগি চলাচলের জন্য রেলের অনুমতি নেই, কিন্তু বিষয়টি না জেনে সহজ ডটকম টিকিট বিক্রি করে যার ফলে বিপাকে পড়েন জামালপুর এক্সপ্রেসের ‘গ’ বগির (এসি) টিকিটের যাত্রীরা। যাত্রীরা ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তে যাত্রীরা প্লাটফর্মে দেখেন, ট্রেন আছে কিন্তু বগি নেই। বগিটিতে ৭০ জন যাত্রী যাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় কেউই যেতে পারেননি। ট্রেনটি ‘গ’ বগি ছাড়াই কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ আগে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘোষণা করা হয়, ‘গ’ বগি যাবে না। টাকা ফেরত নিন। জামালপুর এক্সপ্রেসের ‘গ’ বগি কোথায় গেল জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন বলেন, বগি নষ্ট হয়নি। ঈদের আগে এ বগি চললেও ঈদের পরে এটা চালানোর অর্ডারই ছিল না। ঈদের আগে ৫ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত অর্ডার ছিল, তখন পর্যন্ত বগি চলাচল করছে। ১০ জুলাই বন্ধের পরে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত ওই বগি চলাচলের অর্ডার হয়নি। কিন্তু সহজ মনে করছে, ঈদের পরেও আগের মতো চলবে। সে হিসেবে তারা টিকিট বিক্রি করছে। এটা কি সহজের ভুল নাকি আপনাদের- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সহজের মিস এটা। ওরা মনে করছে, শিওর না হয়ে টিকেট বিক্রি করছে। এটা আমাদের ভুল না। কারণ এটার তো অর্ডারই নেই। রেলসূত্রে জানা গেছে, সকাল সোয়া ১০টায় জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি ছাড়াই যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নেয় ট্রেন কর্তৃপক্ষ। পরে সেই বগির যাত্রীরা কমলাপুর রেলস্টেশনের পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তাদের না পেয়ে তারা সাংবাদিকদের সামনে এসে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এসময় তারা বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে ট্রেন খুঁজে পেলেও বগি খুঁজে পাওয়া যায়নি। বগিটি এসি বগি ছিল। সব জায়গায় খোঁজ নিয়েও ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছে তারাও কিছু জানে না। যারা টিকিট বিক্রি করেছেন তারাও বলেছেন কিছুই জানে না। আর স্টেশন ম্যানেজার ও মাস্টারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, আজ দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন জানান, এটা একটু তথ্যগত ভুল হয়েছে। আমরা যাত্রীদের বলেছি টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে যেতে। অনেকে টাকা ফেরত নিয়েছে। আর যাদের যাওয়া খুব জরুরি তারা অন্য বগিতে দাড়িয়ে চলে গেছেন। এদিকে কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা ফিরছে মানুষ, সেই সঙ্গে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া ট্রেনেও ভিড় দেখা গেলেও কোনো পথেই ভোগান্তির অভিযোগ নেই। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে যেসব ট্রেন আসছে, সবগুলোই ছিল যাত্রীতে পূর্ণ। তাদের বেশিরভাগই ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফিরছেন। যাত্রীরা বলেছেন, ঈদে যাবার সময় যে ভোগান্তি হয়েছিল আসতে তা নেই, মোটামুটি ভালোভাবেই রাজধানীতে ফিরেছেন তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App