×

জাতীয়

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পদ্মা সেতুর প্লাজায় দীর্ঘ যানজট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২২, ০৪:৪৩ পিএম

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পদ্মা সেতুর প্লাজায় দীর্ঘ যানজট

পদ্মা সেতু প্রান্তে যানজট। ফাইল ছবি

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। বাসের টিকিট না পেয়ে ঈদের আগে যারা ঢাকা ছাড়তে পারেননি, ঈদের দ্বিতীয় দিনের সোমবার তারা ঢাকা ছাড়ছেন। বিশেষ করে পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। এই ২১ জেলার মানুষ সকাল থেকেই সড়কপথে বাড়ির পানে ছুটছেন। তাই যানবাহনের চাপে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া টোলপ্লাজা থেকে চার কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভোর থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি। এছাড়া গণপরিবহন ও অন্যান্য যানবাহন রয়েছে। এই সড়কের গাড়ির চাপ সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। থেমে থেমে চলছে যানবাহন। দুপুরের দিকে টোলপ্লাজা থেকে শ্রীনগর উপজেলার সমাসপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জয়ন্ত পোদ্দার জানান, প্রচুর যানবাহন পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের দিকে যাচ্ছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িতে পদ্মা সেতু পার হবেন। এতে যানবাহনে চাপ বেড়েছে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। তোর প্লাজায় যত দ্রুত ট্রল আদায় সম্ভব হবে তত তাড়াতাড়ি জট কমবে। আগামী কয়েক দিন পদ্মা সেতু এক্সপ্রেস হইতে বাড়িতে যাওয়া এবং ঈদ শেষে বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার চাপ থাকবে।

টোলপ্লাজায় দায়িত্বে থাকা পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান জানান, ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ বেড়েছে। জন্ম হলে চাপ পড়ার কারণেই কিছুটা জারজির সৃষ্টি হয়েছে। থেমে থেমে গাড়ি চলছে। আমরা দ্রুততার সাথেই তো আদার চেষ্টা করছি।

এদিকে রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারে ও সোমবার যানজটের সৃষ্টি হয়। মাওয়া মুখি শত শত যানবাহন ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যাওয়ার জন্য আসে। ফ্লাইওভারের উপর থেমে থেমে গাড়ি চলছে। সেখানে লোকজনকে ছুটির দিনেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এদিকে আজও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের কিছুটা ভিড় রয়েছে। নৌপথেও লোকজন স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি ফিরছে। তবে আগের মত বেশি নেই। লোকজন নেই লঞ্চে পৌঁছে জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। সময়মতো লঞ্চগুলো নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়েও যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App