মৎস্য অধিদপ্তরের ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের ৫১২ কর্মচারী চাকরি রক্ষার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা ৪৬ দিন ধরে মানববন্ধন, অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এর পরও সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে আশ্বাস না পাওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

তারা বলেন, ঈদের বোনাস না থাকায় রাস্তাতেই তাদের ঈদ কাটছে । কর্মসূচির ৪৬তম দিন রবিবার (১০ জুলাই) একথা বলেন তারা।

গত ৩০ জুন তাদের প্রকল্পের শেষ দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন আন্দোলনরতরা। বক্তারা বলেন, সাত বছর অধিদপ্তরের যুগান্তকারী অগ্রগতি ও উন্নয়ন যাদের হাতে হয়েছে, তারাই আজ নিঃস্ব হয়ে চোখের জলে বিদায় নেবেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। নিয়োগ নথিপত্রের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই এই দক্ষ জনবলকে রাজস্ব খাতে নিতে পারত।

তারা বলেন, অধিদপ্তরের সাবেক দুই মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ ও রাশেদুল হক চৌধুরী রাজস্বকরণের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেয়নি। পরিকল্পনা মন্ত্রীসহ ৭০ জন সংসদ সদস্য আমাদের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন। জেলা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা প্রস্তাব করছেন, কিন্তু অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তারপরও কর্মচারীরা আশাবাদী।

তারা বলেন, আজ পবিত্র ঈদ উল আযহা। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। সকলে যখন নিজের পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছে, তখনও বাড়ি না ফিরে চাকরি ফিরে পেতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বসে আছি। আজকে এই পবিত্র ঈদের দিনও কেউ একটু খোজও নিলোনা অধিদপ্তর বা মন্ত্রনালয়। অথচ আমরাই ৭ বছর মৎস্য অধিদপ্তরের জন্য কতই না পরিশ্রম করলাম। বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ সুমন হোসেন প্রমুখ।