×

খেলা

স্মিথের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে অজিরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২২, ০৯:৫৬ পিএম

স্মিথের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে অজিরা

রানের জন্য প্রান্ত বদল করছেন লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথ

সিরিজে সমতায় ফেরার লড়াইয়ে গলে শুক্রবার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচে মাত্র সোয়া দুই দিনেই ফলাফল নির্ধারণ হয়েছে। সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেট হাতে রেখে এক ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে শুক্রবার টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

শুক্রবার প্রথমদিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৯৮ রান। ব্যক্তিগত ১০৯ রানে অপরাজিত আছেন স্টিভেন স্মিথ ও ১৬ রানে অপরাজিত আছে উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি।

গলে শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকেই বিপাকে পড়েছে সফরকারীরা। লঙ্কান স্পিনারদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের ব্যাটাররা উইকেটে থিতু হতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে পঞ্চম বলেই সাফল্য পেয়ে যায় লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা। আগের ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ বলে ১০ রান করে জয় নিশ্চিত করা ডেভিড ওয়ার্নারকে এবার ৫ রানের গণ্ডি পার হতে দেননি তিনি। সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়েছেন অজি উদ্বোধনী ব্যাটারকে। ওয়ার্নার সাজঘরে ফেরার সময় স্কোরবোর্ডে ছিল মাত্র ১৫ রান। এরপর লাবুশেনকে নিয়ে ৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার উসমান খাজা। ২২তম ওভারের পঞ্চম বলে রমেশ মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন খাজা। ৪টি চারের সাহায্যে ৭৭ বলে ব্যক্তিগত ৩৭ রান নিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। আগের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৭১ রান করেছিলেন তিনি। দলীয় ১০০ রানের আগেই দুই উইকেট হারানোর পর ম্যাচের হাল ধরেন লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথ। এই দুই ব্যাটারের থিতু ব্যাটিংয়ে প্রথমে দলীয় শত রান পূর্ণ হয় ৩১তম ওভারের প্রথম বলে। এরপর লাবুশেন ক্যারিয়ারের ব্যক্তিগত অর্ধশত রান পূর্ণ করেন মাত্র ৮৪ বলে। যেখানে ২০ রান ছিল বাউন্ডারি থেকে। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে হাফসেঞ্চুরি রানের পার্টনারশিপ গড়েন ৯৫ বলে। যেখানে স্মিথের ১৫ রানের সঙ্গে লাবুশেনের অবদান ছিল ৩৪ রান। ৪৫তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৫০ পূর্ণ করেন দুই অজি ব্যাটার। ১৬৬ বলে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে শত রান করেন লাবুশেন ও স্মিথ। এই পার্টনারশিপে লাবুশেন করেছেন ৬২ রান ও স্মিথ করেছেন ৩৫ রান। লাবুশেনের থেকে ধীরগতিতে ব্যাটিং করছিল স্মিথ। এর ফলে ৭টি চারের সাহায্যে ৯৮ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। স্মিথের হাফসেঞ্চুরির পরপরই ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক হাঁকান লাবুশেন। ১২টি চারের সাহায্যে এই শতক হাঁকাতে খেলেছেন মাত্র ১৪৭ বল। লাবুশেনের রানের চাকার গতিতে দলীয় ২০০ রান পার হয় সফরকারীদের। কিন্তু শতকের পর ইনিংসকে বেশ একটা বড় করতে পারেননি তিনি। ৫৯তম ওভারের চতুর্থ বলে অভিষিক্ত প্রবাথ জয়সুরিয়া বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন লাবুশেন। সাদা পোশাকে এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে প্রবাথ জয়সুরিয়ার। আর প্রথম উইকেট পেলেন শতক হাঁকানো ব্যাটারের। এরপর লঙ্কানদের গল্পে বাকি জায়গাটুকু এই অভিষিক্ত বাঁ-হাতি স্পিনারই জায়গা করে নিয়েছে। স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান যোগ করার পর তাবরিজ হেডকে রুখে দেন প্রবাথ জয়সুরিয়া। ৭২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাবরিজ হেডকে সরাসরি বোল্ড করেন প্রবাথ। আউট হওয়ার আগে নামের পাশে মাত্র ১২ রান যোগ করতে পেরেছেন তাবরিজ হেড। এর দুই ওভার পরই তৃতীয় আঘাত হানেন প্রবাথ জয়সুরিয়া। ক্যামরন গ্রিনের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদনে সফল হয়ে অভিষেক ম্যাচে ইতোমধ্যে তৃতীয় উইকেট নিজের ঝুলিতে সংযোজন করেন প্রবাথ। এরপর দিনের শেষদিকে এসে ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুর হাঁকান স্টিভেন স্মিথ। এই ২৮ সেঞ্চুরির মধ্যে ১৪টি হাঁকিয়েছেন ঘরের মাঠে এবং বাকি ১৪টি প্রতিপক্ষের মাঠে। দিনের ৯০ ওভার শেষে মাঠ আম্পায়র ম্যাচ বন্ধের ঘোষণা দেয়। প্রথমদিন শেষে ১০৯ রানে অপরাজিত আছেন স্মিথ ও ১৬ রানে অপরাজিত আছেন অ্যালেক্স ক্যারি। লংকানদের হয়ে ৩টি উইকেট পেয়েছেন প্রবাথ জয়সুরিয়া। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন কাসুন রাজিথা ও রমেশ মেন্ডিস।

সিরিজ ড্রয়ের লড়াইয়ে জয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগেই বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে স্বাগতিকরা। শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় পুরো লঙ্কান দলকেই করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। সেখানে পজেটিভ হয়ে ছিটকে গেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, আসিথা ফার্নান্দো ও জেফ্রে ভেন্ডারস। তবে আইসোলেশন কাটিয়ে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেছেন অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউস। এম্বুলদেনিয়া আগেই বাদ পড়েছেন। তাই লঙ্কান দলে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। অভিষেক হয়েছে মাহিশ থিকসানা, কামিন্দু মেন্ডিস ও প্রবাথ জয়সুরিয়ার। আসিথার বদলি হিসেবে খেলছেন কাসুন রাজিথার।

সিরিজ সমতায় ফেরার ম্যাচে শেষ টেস্টে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন দিমুথ করুণারত্নে (অধিনায়ক), পাথুম নিশানাকা, কুশাল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউস, দীনেশ চান্দিমাল, কামিন্দু মেন্ডিস, ডিকওয়ালে, রমেশ মেন্ডিস, মাহিশ থিকসানা, প্রবাথ জয়সুরিয়া ও কাসুন রাজিথা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার কোনো পরিবর্তন না এনে প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছেন। যেখানে আছেন প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, ল্যাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ, তাবরিজ হেড, ক্যামরন গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন ও মিচেল সোয়েপসন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App